সিজিও কমপ্লেক্সে অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। বুধবার দুপুরে। — নিজস্ব চিত্র।
ইডির দফতরে প্রবেশ করেছিলেন দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটে। তার প্রায় সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা পরে বিকেল ৫টা ৪৯ মিনিটে সিজিও থেকে বেরলেন অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত।
রেশন দুর্নীতি মামলার তদন্তে অভিনেত্রীকে তলব করেছিল ইডি। সেই ডাকে আগে সাড়া না দিলেও বুধবার ইডির দফতরে হাজির হন অভিনেত্রী। সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সের সামনে তাঁর গাড়ি পোঁছয় দুপুর ১টা নাগাদ সিজিওর সামনে এসে পৌঁছয় তাঁর গাড়ি। আইনজীবীকে সঙ্গে নিয়ে অভিনেত্রী গাড়ি থেকে নেমেই ঢুকে যান সিজিও কমপ্লেক্সের ভিতরে।
বুধবার অভিনেত্রীর আসার অনেক আগেই তাঁর হিসাবরক্ষক কাগজপত্র নিয়ে পৌঁছে গিয়েছিলেন সিজিওতে। অভিনেত্রীও যে ইডির ডাকে সাড়া দিয়ে সিজিওতে আসছেন, তা জানা গিয়েছিল তখনই। তিনি আসার পর তাঁকে সাংবাদিকেরা ঘিরে ধরে নানা প্রশ্নের উত্তর জানতে চাইলে অভিনেত্রী বলেন, ‘‘আগে যাই...’’
রেশন দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হওয়া এক অভিযুক্তের সঙ্গে ঋতুপর্ণার আর্থিক লেনদেনের তথ্য তদন্তকারীরা হাতে পেয়েছেন বলে দাবি করেছিলেন এক ইডি আধিকারিক। যদিও আনুষ্ঠানিক ভাবে এই বিষয়ে সবিস্তারে কিছু জানায়নি ইডি। ওই সূত্র মারফত আরও জানা যায়, ওই অভিযুক্তের সঙ্গে প্রায় কোটির অঙ্কে আর্থিক লেনদেন হয়েছে একটি সংস্থার, যার প্রোপ্রাইটর হিসাবে নাম রয়েছে অভিনেত্রী ঋতুপর্ণার। সেই লেনদেন সম্পর্কে জানতেই ঋতুপর্ণাকে তলব করে ইডি।
বুধবার ঋতুপর্ণার হিসাবরক্ষক জানিয়েছিলেন, অভিনেত্রীর কাছে যে সমস্ত হিসাব চেয়েছিল ইডি, তা তিনি, অর্থাৎ হিসাবরক্ষকই দেখাশোনা করেন। তাই হিসাব বুঝিয়ে দিতে সুবিধা হবে বলে তিনি এসেছেন। অভিনেত্রীও পরে সিজিওতে আসবেন বলে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন হিসাবরক্ষক। সেই মতো দুপুর ১টা নাগাদ অভিনেত্রী এসে পৌঁছন সিজিওতে।
এর আগে গত ৫ জুন রেশন দুর্নীতি মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অভিনেত্রীকে ইডির দফতর সিজিও কমপ্লেক্সে তলব করা হয়েছিল। যদিও সে দিন ঋতুপর্ণা সিজিওতে হাজিরা দেননি। সূত্র মারফত জানা যায়, বিদেশে থাকার কারণে ইডি দফতরে যেতে পারেননি অভিনেত্রী। এ কথা তিনি ইডি আধিকারিকদের ইমেল করে জানিয়েওছিলেন। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে জানা যায়, তার পরে তাঁকে আবার ইডি দফতরে যেতে বলা হয়েছিল।
সেই মতো বুধবার তাঁর প্রতিনিধি ইডির দফতরে পৌঁছনোর পরেই অভিনেত্রীর সেখানে যাওয়া নিয়ে জল্পনা শুরু হয়। পরে তাঁর হিসাবরক্ষক বলেন, ‘‘উনি নিজে যে হেতু হিসাবের বিষয়টি দেখেন না, তাই আমি এ ব্যাপারে সাহায্য করতে এসেছি।’’
এর আগে ইডির তলব নিয়ে অভিনেত্রীর সঙ্গে কথা বলেছিল আনন্দবাজার অনলাইন। সেই সময় তিনি জানিয়েছিলেন, তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। তিনি এ-ও বলেন যে, ‘‘রেশন দুর্নীতি কী, সে সম্পর্কে আমার কোনও সম্যক ধারণা নেই। আচমকাই এই খবর পেলাম।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy