বিচারপতি অমৃতা সিংহ। গ্রাফিক— শৌভিক দেবনাথ।
লোকসভা ভোটের ফলঘোষণার দিন ডেবরায় বিজেপি-তৃণমূল সংঘর্ষে গ্রেফতার হন এক বিজেপি কর্মী। পরে পুলিশি হেফাজতে থাকাকালীন তাঁর মৃত্যু হয়। বুধবার সেই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি শুনে মামলা করার অনুমতি দিলেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিংহ।
ডেবরার ওই বিজেপি কর্মীর নাম সঞ্জয় বেরা। বয়স ৪২। পুলিশি হেফাজতে থাকাকালীন তাঁর মৃত্যুর ঘটনায় সরব হয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। এ বিষয়ে প্রকাশ্যে সিবিআই তদন্ত অথবা বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবিও তুলেছিলেন তিনি। একই সঙ্গে পুলিশের সাহায্যে রাজ্যের বিরোধীদের চুপ করানো হচ্ছে বলেও অভিযোগ এনেছিলেন। মঙ্গলবার শুভেন্দু এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে ওই পোস্ট করার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই বুধবার কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয় নিহত সঞ্জয়ের পরিবার।
আদালতকে সঞ্জয়ের পরিবার বলে, ‘‘গত ৪ জুন ডেবরায় সংঘর্ষের পরে সঞ্জয়কে যখন গ্রেফতার করা হয়, তখন তাঁর দেহে কোনও আঘাতের চিহ্ন ছিল না। অথচ তার পরের দিনই যখন সঞ্জয়কে আদালতে পেশ করা হয়, তখন তাঁর মাথায় ব্যান্ডেজ দেখা যায়।’’ সঞ্জয়ের পরিবার আদালতের কাছে আবেদন করেছে, সঞ্জয়ের সঙ্গে কী হয়েছিল, তা সিবিআই তদন্ত করে দেখুক। পাশাপাশি সঞ্জয়ের দেহের ময়নাতদন্তও করা হোক কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন হাসপাতালে।
বিষয়টি বিচারপতি সিংহের এজলাসে উঠলে তিনি মৃত বিজেপি কর্মী সঞ্জয়ের পরিবারকে মামলা দায়ের করার অনুমতি দেন। দুপুর ২টোয় বিচারপতি সিংহের এজলাসেই মামলাটির শুনানির সম্ভাবনা।
প্রসঙ্গত শুভেন্দু লিখেছিলেন, ‘‘পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরার পুরুষোত্তম নগরের বাসিন্দা বিজেপির এক কার্যকর্তা সঞ্জয় বেরার মৃত্যু হয়েছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশের হেফাজতে। পুলিশ ৪ জুন তাঁকে গ্রেফতার করেছিল। পরে তাঁকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করাতে হয়। আবার মেদিনীপুরের প্রেসিডেন্সি জেলে নিয়ে আসা হয় তাঁকে। কিন্তু তার পরে আবার ১১ জুন পিজি হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়। সাত দিন পরে মঙ্গলবার তাঁর মৃত্যু হয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy