লিবারাল আর্টসে কেরিয়ার গড়ার হদিস জেনে নাও ৭ সেপ্টেম্বর।
হিউম্যানিটিজ নিয়ে পড়েও খুলে যেতে পারে নেশা ও পেশার মিশেলে অচেনা ও রোমাঞ্চকর কেরিয়ারের দরজা। এ নিয়ে বিশদে জানতে সাইন আপ করো লিবারাল আর্টসঃ এমার্জিং কেরিয়ার্স ইন হিউম্যানিটিজ ওয়েবিনারে। এবিপি এডুকেশন আয়োজিত নিখরচার ওয়েবিনার সিরিজ ক্যাম্পাসটুকেরিয়ার ২০২০-তে থাকছে এই আলোচনাচক্র।
কখনঃ ৭ সেপ্টেম্বর, বিকেল ৩টে।
কী নিয়েঃ লিবারাল আর্টসের জগতে কেরিয়ারের সুযোগ
যা থাকছেঃ ক্রিয়েটিভ রাইটিং থেকে প্রকাশনা, জনসংযোগ ও বিজ্ঞাপন, সমাজসেবা এবং মিডিয়া ও সাংবাদিকতায় তত্ত্বাবধান- লিবারাল আর্টসের ডিগ্রিতে বেছে নেওয়া যাবে যে সব কেরিয়ার। জেনে নাও কলেজে এই কোর্সে পড়া যাবে কী কী বিষয় ও কম্বিনেশন। একত্রে বহু মাধ্যমের বিষয় পড়ার সুযোগ কী ভাবে নতুন কেরিয়ার এবং বাস্তবে তার প্রয়োগের পথ খুলে দেবে। কলেজে বাণিজ্য বা বিজ্ঞান নিয়ে পড়েও লিবারাল আর্টসে কেরিয়ার তৈরির সুলুকসন্ধান।
বক্তা যাঁরাঃ
ডঃ অর্ঘ্যকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়, ডিন অফ আর্টস, সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ (অটোনমাস), কলকাতা- প্রায় দু’দশক সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজের ইংরেজি বিভাগের ফ্যাকাল্টিতে রয়েছেন। সাসেক্স বিশ্ববিদ্যালয়ের কমনওয়েলথ রিসার্চ স্কলার এবং চার্লস ওয়্যালেস পোস্ট ডক্টরাল ফেলো; লিখেছেন অজস্র বই, নিবন্ধ, জার্নালের প্রবন্ধ এবং সংবাদপত্র প্রতিবেদন। কাজ করেছেন যাদবপুর ও প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের গেস্ট ফ্যাকাল্টি হিসেবেও।
অদিতি শ্রীরাম, সহকারী অধ্যাপক, অ্যাকাডেমিক রাইটিং, অশোকা বিশ্ববিদ্যালয়- বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্ডারগ্র্যাজুয়েট রাইটিং প্রোগ্র্যাম চালান তিনি। ২০১৬ সালে এখানে যোগ দিয়ে অ্যাকাডেমিক রাইটিং এবং ক্রিয়েটিভ রাইটিং কোর্স পড়ান। ক্রিয়েটিভ রাইটিং থিসিস পড়ুয়াদের প্রস্তুতিতে সহায়তার পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংলিশ ল্যাঙ্গোয়েজ প্রোগ্রাম সাজানোতেও ভূমিকা রয়েছে তাঁর। এর আগে নিউ ইয়র্কের বাসিন্দা, অঙ্কের পড়ুয়া অদিতি অ্যাক্সেঞ্চার কনসাল্টিং ফার্মে কাজ করতেন। তার পর চলে আসেন লেখা শেখানোর কাজে। তাঁর লেখা প্রথম বই বিয়ন্ড দ্য ব্যুলেভার্ডসঃ আ শর্ট বায়োগ্রাফি অফ পন্ডিচেরী প্রকাশিত হয় ২০১৯-এর মার্চে। দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস, দ্য আটলান্টিক, দ্য ওয়াশিংটন পোস্টের মতো নামী আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের জন্য ফ্রিল্যান্স লেখালেখিও করেন তিনি।
অধ্যাপক মৃত্যুঞ্জয় চট্টোপাধ্যায়, অধ্যাপক ও ডিন, স্কুল অফ লিবারাল আর্টস অ্যান্ড কালচার স্টাডিজ, অ্যাডামাস বিশ্ববিদ্যালয়- সাংবাদিকতা ও মাস কমিউনিকেশনে স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি; মিডিয়ায় কাজ করেছেন ইটিভি নেটওয়ার্ক, টিভিআই নেটওয়ার্ক, ইউএনআই, অল ইন্ডিয়া রেডিও এবং দূরদর্শনের মতো সংস্থায়। অ্যাডামাস গ্রুপে যোগ দেওয়ার আগে কাজ করেছেন এনএসএইচএম ইনস্টিটিউট অফ মিডিয়া অ্যান্ড ডিজাইন-এর ডিরেক্টর, কলকাতার অ্যামিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অফ কমিউনিকেশন, ফাইন আর্টস অ্যান্ড ফ্যাশন ডিজাইন-এর প্রতিষ্ঠাতা-ডিরেক্টর পদে। এ ছাড়া, আইলিড-এর ডিরেক্টর হিসেবে কর্পোরেট সংস্থা এবং পেশাদার ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য নিয়মিত প্রশিক্ষণ ও কর্মশালা আয়োজনও করেছেন তিনি।
শর্মিষ্ঠা সরকার, কালচারাল প্রোগ্র্যাম অফিসার, গোয়েথ ইনস্টিটিউট/ম্যাক্স মূলার ভবন (সঞ্চালক)- আর্টস প্রোগ্র্যামার হিসেবে কাজ করছেন ২০০০ সাল থেকে। দ্য সিগাল ফাউন্ডেশন ফর দি আর্টস-এর প্রোগ্র্যাম অফিসার হিসেবে কেরিয়ার শুরু করে, পরে উইভার্স স্টুডিওতে স্বতন্ত্র আর্টস সেন্টার তৈরি এবং এইচএমভি সারেগামা-য় অন্য ধারার সঙ্গীত ও অ্যানিমেশন ছবি-র প্রোডিউসার হিসেবে কাজ করেছেন। ২০১০ সালে গোয়েথ ইনস্টিটিউট/ ম্যাক্স মূলার ভবনে কালচারাল প্রোগ্র্যাম অফিসার পদে যোগদানের পরে তাঁর ভাবনা ও উদ্যোগে আয়োজিত হয়েছে অজস্র আন্তর্জাতিক প্রকল্প ও অনুষ্ঠান। ভারত ও আন্তর্জাতিক স্তরে বিভিন্ন নাগরিক ও সামাজিক সংগঠনের সঙ্গেও নিবিড় ভাবে যুক্ত রয়েছেন তিনি।
মুদার পাথেরা, স্টোরিটেলার অ্যান্ড কলামনিস্ট- জঞ্জাল সংগ্রহ, প্রতিবাদ, নেটওয়ার্কিং, জনহিতৈষীর ভূমিকা, বৃক্ষরোপণ, উর্দু-প্রেম, মনোবল বাড়ানো, লোকের ফেলে দেওয়া জিনিস সংগ্রহ করে রাখা- এমন হাজারো অভিজ্ঞতা তাঁর ঝুলিতে। সেন্ট জেভিয়ার্সের প্রাক্তনী একদা ইমরান খানের হয়ে কলম ধরেছিলেন। পেঙ্গুইন বুকস-এর এর একেবারে শুরুর দিককার লেখক (পেঙ্গুইন বুকস অফ ক্রিকেট লিস্টস)। এ দেশে ইক্যুইটি রিসার্চ শুরুর ক্ষেত্রে নিয়েছিলেন অগ্রণী ভূমিকা। দু-দুবার সাঁতরাগাছি ঝিল সাফাই, রবীন্দ্র সরোবরের পুনরুজ্জীবন তাঁর উদ্যোগে। ভারতের বার্ষিক রিপোর্ট তৈরির কাজের সূচনাও তাঁরই হাত ধরে।
নীলাঞ্জন দাশগুপ্ত, ইভিপি এবং এগজিকিউটিভ ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর, রিডিফিউশন- ২৩ বছরের কর্মজীবনে ১৬ বছরই এই সংস্থায় কাটিয়েছেন নীলাঞ্জন ওরফে নীল। কাজ করেছেন ফোকসওয়াগন, কোলগেট, গোল্ড ফ্লেক, টাটা ট্রাস্টস, এয়ারটেল, এমটিএস, এভারেডি, টাটা মোটরস ও রিলায়্যান্সের মতো দেশ ও বিদেশের বহু নামী ব্র্যান্ডের সঙ্গে। পুরস্কার জিতেছেন ওয়ান শো, কান লায়ন্স ইন্টারন্যাশনাল ফেস্টিভ্যাল অফ ক্রিয়েটিভিটি, গোয়া ফেস্ট-এ। পেয়েছেন অজস্র আঞ্চলিক পুরস্কারও। তাঁর নেতৃত্বে লাগাতার পাঁচ বছর কলকাতা অ্যাওয়ার্ড ফেস্টে এজেন্সি অফ দ্য ইয়ার-এর শিরোপা পেয়েছে রিডিফিউশন। এফটিআইআই পুনে থেকে ফিল্ম অ্যাপ্রিসিয়েশন-এ ডিগ্রিধারী নীল পরিচালনা করেছেন ৭৫টি বিজ্ঞাপন-ছবি এবং একটি মিউজিক ভিডিও। ফিল্ম, ফুটবল অ্যান্ড ফিশ- তিন 'এফ'এই এখনও মজে মনেপ্রাণে বাঙালি নীল।
উপস্থিতির শংসাপত্রঃ সম্পূর্ণ ওয়েবিনারটিতে উপস্থিতির ভিত্তিতে মিলবে এবিপি এডুকেশনের শংসাপত্র।
লিবারাল আর্টসঃ এমার্জিং কেরিয়ার্স ইন হিউম্যানিটিজ ওয়েবিনারে রেজিস্টার করতে চাইলে সাইন আপ করো এখানে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy