অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।
কেন্দ্রে বিজেপি-কে হটাতে বিরোধী ‘ইন্ডিয়া’ যাতে ঐক্যবদ্ধ থাকে, সে জন্য তৃণমূল কংগ্রেস সক্রিয় থাকবে, তবে তা কোনও দলের (কংগ্রেসের) রাবার স্ট্যাম্প হয়ে নয়— আজ নয়াদিল্লিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে চা চক্রে এ কথা জানান তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
পাশাপাশি, প্রদেশ সভাপতির পদ থেকে অধীর চৌধুরীর বিদায়ের পরে কংগ্রেস যদি তৃণমূলের সঙ্গে নতুন করে আলোচনায় বসতে চায়, তাতেও আপত্তি নেই অভিষেকের। তিনি আজ বলেন, “ত্রিপুরা হোক বা গোয়া, আমরা এমন জায়গায় দলের সম্প্রসারণ করতে গিয়েছি যেখানে বিজেপি শক্তিশালী, কংগ্রেস নয়। আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনেক দিন আগেই সূত্র দিয়েছিলেন, যে বিরোধী দল যে রাজ্যে শক্তিশালী, তার পিছনে দাঁড়াক অন্যান্য বিরোধী দলেরা। সেই হিসাবে আমরা কোনও রাজ্যে গিয়ে কংগ্রেসকে দুর্বল করার কথা ভাবিনি। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে আমাদের জোট প্রস্তাব কংগ্রেসের মানা উচিত ছিল।”
রাজ্যে কংগ্রেসের সঙ্গে সংঘাতের রাজনীতি চলেছে তৃণমূলের। অন্য দিকে কেন্দ্রে ‘ইন্ডিয়া’র সবচেয়ে বড় শরিক কংগ্রেস। এই পরিস্থিতিকে কী ভাবে দেখেন? অভিষেক বলেন, “অন্য সব জোট শরিকেরা কোনও না কোনও রাজ্যে কংগ্রেসের শরিক। একমাত্র আমরা কংগ্রেস, বিজেপি এবং বাম, এই তিন শক্তির সঙ্গেই লড়াই করেছি। কংগ্রেসকে বারবার জোটের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। রাজনৈতিক বাস্তবতা মেনে আসন (দু’টি) দেওয়ার প্রস্তাবও দিয়েছি। কংগ্রেস তা গ্রাহ্য করেনি। তবে কেন্দ্রে আমরা ঐক্যবদ্ধ ভাবে বিজেপিকে হারানোর জন্য লড়াই আরও জোরদার করব।”
এআইসিসি-র পশ্চিমবঙ্গের ভারপ্রাপ্ত নেতা গুলাম আহমেদ মীর পশ্চিমবঙ্গের নেতাদের বলেন, অধীর চৌধুরী এখন ‘প্রাক্তন’ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। তিনি পদত্যাগ করেছেন। নতুন সভাপতি বাছাইয়ের কাজ শুরু হয়েছে। আর অধীরের বক্তব্য, দিল্লি এসে জানতে পেরেছেন যে তিনি প্রাক্তন। দিল্লিতে রাজনৈতিক মহলের একাংশের দাবি, কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের বোঝাপড়ার প্রশ্নে প্রাচীর হয়ে ছিলেন অধীর। তাঁকে সরানো হলে তৃণমূলের সঙ্গে সম্পর্ককে নতুন ভাবে দেখা যেতে পারে বলে ‘চিন্তাভাবনা’ করছে কংগ্রেস।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy