—ফাইল চিত্র।
তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরাকে শুল্ক দফতরে হাজিরা দিতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে শুক্রবার হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে আপিল মামলা দায়ের করেছেন রুজিরা।
সাংসদ-পত্নী ১৫ মার্চ গভীর রাতের বিমানে ব্যাঙ্কক থেকে বিধি-বহির্ভূত ভাবে সোনা এনেছিলেন বলে শুল্ক দফতরের অভিযোগ। ২৬ মার্চ রুজিরাকে সমন পাঠিয়ে বলা হয়, ৮ এপ্রিল তাঁকে শুল্ক দফতরে হাজির হতে হবে। সেই সমনের উপরে স্থগিতাদেশ চেয়ে মামলা করেন রুজিরা। বৃহস্পতিবার তার শুনানিতে বিচারপতি ভরদ্বাজ নির্দেশ দেন, ৮ এপ্রিল তাঁকে শুল্ক দফতরে হাজির হতে হবে। শুল্ক দফতরকে তিনি নির্দেশ দেন, রুজিরার বিরুদ্ধে কোনও কড়া আইনি পদক্ষেপ করা যাবে না।
এ দিন ডিভিশন বেঞ্চে হাজির হয়ে আপিলের অনুমতি চান রুজিরার কৌঁসুলি। তিনি জানান, মামলাটির দ্রুত শুনানি দরকার। ডিভিশন বেঞ্চ অনুমতি দেওয়ায় আপিল করা হয়। রাজ্য প্রশাসনিক সূত্রের খবর, আপিল মামলায় শুল্ক দফতরের পাশাপাশি রাজ্য সরকারকেও যুক্ত করা হয়েছে।
শুল্ক দফতর সূত্রের খবর, রুজিরা এখনও কোনও মামলায় অভিযুক্ত নন। কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর পেতে তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়েছে।
সোনা-কাণ্ড নিয়ে টুইট-মন্তব্য প্রত্যাহার না-করলে বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের নোটিস দিয়েছিলেন অভিষেক। সুজনবাবু ওই মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাওয়া বা তা প্রত্যাহারের প্রশ্ন নেই বলে জানানোর পরেও অবশ্য কোনও মামলা হয়নি।
এই প্রেক্ষিতে সুজনবাবু ও সিপিএম নেতা শমীক লাহিড়ী শুক্রবার অভিষেক এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশে পাঁচটি প্রশ্ন তুলেছেন। মূল প্রশ্ন রুজিরার পাসপোর্ট, প্যান কার্ড-সহ নানা নথিতে বিভিন্ন তথ্যের উল্লেখ নিয়ে। তাঁরা বলেছেন, নির্বাচন কমিশনের কাছে হলফনামায় অভিষেক দেখিয়েছিলেন, ২০১২-১৩ সালেই তাঁর আয় বছরে ৪৪ লক্ষ ৬৪ হাজার ১০১ টাকা। যাঁর আয় ছ’বছর আগেই এমন, তাঁর বাড়িতে টালির ছাউনি কেন? মানুষকে ‘ধোঁকা’ দিতে, নাকি অন্য রহস্য আছে? অভিষেক বাড়ির ঠিকানা ৩০বি হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিট। যা মুখ্যমন্ত্রীরও ঠিকানা। তাঁর বাড়ির ঠিকানা বিতর্কে জড়িয়ে যাচ্ছে দেখেও মুখ্যমন্ত্রী এই নিয়ে প্রশ্নের উত্তর এড়াচ্ছেন কেন? সুজনবাবু বারুইপুরে বলেন, ‘‘অভিষেকের অভিযোগ, সোনা-কাণ্ডে কেন্দ্রের চক্রান্ত আছে। রাজীব কুমারের বিরুদ্ধে কেন্দ্রের চক্রান্তের অভিযোগ করে মুখ্যমন্ত্রী ধর্নায় বসেছিলেন। তা হলে ভাইপোর বেলায় তিনি এড়িয়ে যাচ্ছেন কেন?’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy