Advertisement
১৫ ডিসেম্বর ২০২৪
Abhishek Banerjee

সোম দুপুরে রাজঘাটে ধর্না, মঙ্গলে যন্তর মন্তর, দু’দিন প্রতিবাদের মধ্যেই সংসদ অভিযান, ডাক অভিষেকের

রবিবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ রাজধানী পৌঁছন অভিষেক। এর পর দলের নেতাদের সঙ্গে দেখা করে তিনি সোজা চলে যান সৌগত রায়ের বাসভবনে। দলীয় সূত্রে খবর, সেখানেই কৌশল-বৈঠকের আয়োজন করা হয়।

An image of Abhishek Banerjee

দলের শীর্ষনেতৃত্বের সঙ্গে নৈশভোজ-বৈঠক করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: টুইটার।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ অক্টোবর ২০২৩ ২৩:৫৩
Share: Save:

বাংলার ‘বকেয়া’ আদায় করতে দিল্লিতে দু’দিনের কর্মসূচি শুরু হবে সোমবার। তার ঠিক আগে, রবিবার রাতে দলের শীর্ষনেতৃত্বের সঙ্গে নৈশভোজ-বৈঠক করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দিল্লিতে পৌঁছনোর পরেই। বর্ষীয়ান তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ের দিল্লির সরকারি বাসভবনে বৈঠকটি হয়। সোমবারের যা যা কর্মসূচির পরিকল্পনা আগে করা ছিল, কী ভাবে তা বাস্তবায়িত হবে, তা নিয়েই মূলত আলোচনা হয়েছে বৈঠকে। তৃণমূল নেতৃত্ব জানিয়েছেন, সোমবার রাজঘাটে গান্ধীজির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে কর্মসূচি শুরু হবে। মঙ্গলবার যন্তর মন্তরে ধর্না কর্মসূচি রয়েছে। আর এই দু’দিনের পূর্বঘোষিত কর্মসূচির মধ্যেই নতুন পরিকল্পনা— সংসদ ভবন অভিযান। তবে দ্বিতীয় দিনের চূড়ান্ত কর্মসূচির রূপরেখা কী হবে, তা ঠিক করা হবে সোমবার দুপুরে একটি বৈঠক করে।

তৃণমূলের বেশ কয়েক জন মন্ত্রী, সাংসদ ও নেতানেত্রী আগেই দিল্লি পৌঁছে গিয়েছিলেন। রবিবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ রাজধানী পৌঁছন অভিষেক। এর পর দলের নেতাদের সঙ্গে দেখা করে সাংসদ সোজা চলে যান সৌগতের বাসভবনে। দলীয় সূত্রে খবর, সেখানেই কৌশল-বৈঠক ও নৈশভোজের আয়োজন করা হয়। সোমবারের কর্মসূচির রূপরেখা চূড়ান্ত হয় ওই বৈঠকে। রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ বৈঠক শেষে বেরিয়ে তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, সোমবার দুপুর দেড়টা নাগাদ রাজঘাটে গান্ধীজির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে দলীয় কর্মসূচির সূচনা হবে। সাংসদের কথায়, ‘‘আমাদের মূল আন্দোলনে ১০০ দিনের কাজে বকেয়া আদায় নিয়ে। এই ১০০ দিনের কাজ, যাকে মনরেগা বলে, তার সঙ্গে গান্ধীজির নিবির সম্পর্ক রয়েছে। সেই কারণেই গান্ধীজির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে।’’

২ অক্টোবর গান্ধী জয়ন্তীতে রাজঘাটে শ্রদ্ধা জানাতে যাওয়ার কথা রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। তৃণমূল সূত্রে খবর, সে ক্ষেত্রে নিরাপত্তার কড়াকড়ি থাকবেই। তার মধ্যে দলের কর্মসূচি কতটা বাস্তবায়িত হবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আপাতত যা ঠিক হয়েছে, দলের বেশ কিছু সাংসদ এবং মন্ত্রী রাজঘাটে যাবেন। সেখানে যদি পুলিশি বাধার মুখে পড়েন দলের নেতারা, তা হলে বিকল্প পথ কী হবে, সেই সব স্থির করা হয়েছে বৈঠকে। দলীয় সূত্রে খবর, রবিবার রাতের বৈঠকে অভিষেক জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় বঞ্চনার যাঁরা শিকার, তাঁদের নিয়ে দলের শীর্ষস্থানীয় নেতারা সংসদভবনে যাবেন। সেখানে ‘ভুক্তভোগী’দের নিয়ে গিয়ে দেখানো হবে, কী ভাবে তাঁদের ‘হকের টাকায়’ নতুন সংসদ ভবন তৈরি হয়েছে। একটি সংসদ ভবন থাকতেও বাংলার মানুষের অধিকার খর্ব করে আরও একটি বিশাল সংসদ ভবন তৈরি করা হয়েছে।

তৃণমূল সূত্রে খবর, সোমবার কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়নমন্ত্রী গিরিরাজ সিংহের সঙ্গে দেখা করার কথাও রয়েছে তৃণমূল নেতৃত্বের। রবিবারের বৈঠকেই স্থির হয়ে গিয়েছে, কারা কারা মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে যাবেন। কিন্তু মন্ত্রী আদৌ তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে দেখা করবেন কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয় তৃণমূল নেতৃত্বের কাছে। বৈঠকে দু’ধরনের মত উঠে এসেছে। এক দলের বক্তব্য, মন্ত্রী দেখা না করলে ধর্নায় বসার প্রস্তাব দিয়েছে। কেউ কেউ আবার এ ব্যাপারে সাবধানী পদক্ষেপের কথা বলেছেন। দলীয় সূত্র জানিয়েছে, বৈঠকে অভিষেক জানান, দলের নবজোয়ার কর্মসূচিতে বেরিয়েই ‘দিল্লি চলো’ কর্মসূচির কথা তাঁর মাথায় আসে। সেই কর্মসূচিতেই তিনি বুঝেছেন, মানুষ কতটা বঞ্চিত। অভিষেক স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, গিরিরাজ যদি দেখা করেন, তবে গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার কোনও দরকার নেই।

তবে মঙ্গলবারের কর্মসূচি নিয়ে রবিবার রাতের বৈঠকে কোনও আলোচনা হয়নি বলেই খবর মিলেছে তৃণমূল সূত্রে। ওই সূত্র জানিয়েছে, রাজঘাটে কর্মসূচির পর সাংসদ সুদীপের বাড়িতে একটি দলীয় বৈঠকও ডাকা হয়েছে। সেখানে অভিষেক ছাড়াও দলের ১৫ জন নেতানেত্রীর উপস্থিত থাকার কথা। তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ‘‘সোমবার দুপুরে একটা বৈঠক ডাকা হয়েছে। সেখানে মঙ্গলবারের কর্মসূচির রূপরেখা চূড়ান্ত হবে। নেতানেত্রীরা মত বিনিময় করে সব স্থির করবেন। ওই বৈঠকে যা স্থির হবে, তা নিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ সাংবাদিক বৈঠক করে জানাবেন।’’

দলীয় সূত্রে খবর, মঙ্গলবার যন্তরমন্তরে দলের কর্মসূচি রয়েছে। তার জন্য দিল্লি পুলিশের কাছে অনুমতি চাওয়া হয়েছিল। দলীয় সূত্রেরই দাবি, সেই অনুমতি মিলেছে। কিন্তু তার পরেও বিকল্প রাস্তার কথা ভেবে রাখা হচ্ছে। কারণ, যদি পরে পুলিশি বাধার মুখে পড়তে হয়, তা হলে কী কী করণীয়, তা নিয়ে মঙ্গলবারের বৈঠকে আলোচনা হতে পারে বলে আপাতত স্থির রয়েছে।

তৃণমূলের শহিদ দিবসের মঞ্চ থেকে গত ২১ জুলাই অভিষেক ‘দিল্লি চলো’র ডাক দিয়েছিলেন। ঘোষণা করেছিলেন, গান্ধীজয়ন্তীতে ১০০ দিনের কাজের টাকা আটকে রাখা-সহ কেন্দ্রীয় বিভিন্ন বঞ্চনার অভিযোগ তুলে দিল্লির রাজপথে সরব হবেন তাঁরা। দিল্লির রামলীলা ময়দানে অবস্থান-বিক্ষোভের পরিকল্পনাও ছিল তৃণমূল নেতৃত্বের। কিন্তু দিল্লি পুলিশ তার অনুমতি দেয়নি। তখন থেকেই তৃণমূলের অভিযোগ, ভয় পেয়ে ‘দিল্লি চলো’ কর্মসূচিতে বিজেপি বাধা দিতে চাইছে। ট্রেন বাতিল হওয়া নিয়ে একপ্রস্ত তরজার পর দলীয় কর্মী-সমর্থকদের দিল্লি নিয়ে যাওয়া বাস বিজেপিশাসিত উত্তরপ্রদেশে আটকে দেওয়ারও অভিযোগ তোলা হয়েছে রাজ্যের শাসকদলের পক্ষ থেকে। তৃণমূল সূত্রেই দাবি, প্রায় ১০০টি বাসে করে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের দিল্লি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সেই রকমই একটি বাসকে উত্তরপ্রদেশে আটকানো হয় রবিবার রাতে। তার একটি ভিডিয়োও প্রকাশ করেছে তৃণমূল। এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে তারা লিখেছে, ‘‘এই ধরনের বাধা সন্দেহ জাগায়। তবে বিজেপির কাছে এটা প্রত্যাশিত। কারণ এর আগেও ওরা আমাদের দিল্লি যাত্রার ট্রেন বাতিল করে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছে।’’ তৃণমূল সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই একাধিক বাস উত্তরপ্রদেশে ঢুকে প়ড়েছে। সোমবার সকালের মধ্যে সেগুলির দিল্লি পৌঁছে যাওয়ার কথা। দিল্লির পাহাড়গঞ্জ রোড, চিত্তরঞ্জন পার্ক, দিল্লি কালীবাড়ি সংলগ্ন এলাকার অতিথিশালা এবং পান্থনিবাসগুলিতে বাসযাত্রীদের থাকার বন্দোবস্ত করা হয়েছে।

মোদীকে নিশানা অভিষেকের

দিল্লি যাওয়ার আগে কেন্দ্রের মোদী সরকারকে আক্রমণ করেছেন অভিষেক। বলেছেন, ‘‘১১২ বছর আগে ভারতের রাজধানী কলকাতা থেকে দিল্লিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তারপর থেকে দিল্লির শাসন মানুষ চাক্ষুষ করেছে। বর্তমান শাসকরা সমস্ত লিমিট পার করে দিয়েছে। সর্বশিক্ষা মিশনের টাকা বন্ধ। আবাসের টাকা বন্ধ, ১০০ দিনের টাকা বন্ধ। তাই প্রতিবাদ জরুরি হয়ে উঠেছে।’’ অভিষেকের আরও প্রশ্ন, ‘‘২০ হাজার কোটি টাকায় প্রধানমন্ত্রীর বাড়ি হবে। আর বাংলার গরিব মানুষ দেড় লক্ষ টাকা বাড়ি তৈরির জন্য পাবে না? বিজেপি সরকার বাংলার মানুষের থেকে ভোট নিয়ে তাদের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। তাদের ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত করেছে, অবহেলিত করেছে। মানুষ চালু থাকবে। ভোটের সময় রাজনীতি হোক। কিন্তু যখন আমরা জনপ্রতিনিধি তখন কিন্তু মানুষের পরিষেবাই সবার আগে।’’ অভিষেক আরও বলেন, ‘‘আমাদের রাজনীতি হল যেখানে তৃণমূল হেরেছে সেখানও সব পরিষেবা পাচ্ছে মানুষ। যেখানে তৃণমূল জিতেছে সেখানে যেমন লক্ষ্মীর ভান্ডার দেওয়া হচ্ছে, তেমনই যেখানে তৃণমূল হেরেছে সেখানেও লক্ষ্মীর ভান্ডার দেওয়া হচ্ছে।’’ অভিষেকের দাবি, ‘‘আমার কাছে ১০০টা চিঠি জমা পড়েছে। অসমে ১০০ দিনের কাজে আবাসে দুর্নীতি হয়েছে। সব চিঠি নিয়ে যাচ্ছি দিল্লিতে। অসমে গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে দুর্নীতি হয়েছে। কিন্তু সেখানে টাকা বন্ধ হয়নি।’’ তাঁর কথায়, ‘‘দুর্নীতির অভিযোগে বাংলার টাকা দু’বছর ধরে বাকি। কারও আট হাজার, কারও ১০-১২ হাজার টাকা বাকি। সংবিধান স্বীকৃত আইন। মোদীজি টাকা পাঠিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীকে শ্রদ্ধা জানিয়ে বলছি, পৈতৃক সম্পত্তি নয়। পশ্চিমবঙ্গ থেকে কেন্দ্রীয় সরকার এক লক্ষ হাজার টাকা জিএসটি তুলে নিয়ে যায়। আর রাজ্যের এক লক্ষ ১৫ হাজার কোটি পাওনা রয়েছে রাজ্যে। তাই নিজেদের পাওনা বুঝে নিয়ে দিল্লিতে প্রতিবাদ হবে, ক্ষমতা থাকলে আটকান। দিল্লির আন্দোলন হচ্ছেই, অনেক তো আটকানোর চেষ্টা করলেন দিল্লি পুলিশকে কাজে লাগিয়ে। ট্রেন বিমান বাতিল করে, তা-ও তো পারলেন না।’’

অভিষেকের হাতে নতুন অস্ত্র!

শনিবার বাঁকুড়ায় তিন শিশু এবং এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে মাটির দেওয়াল চাপা পড়ে। সেই সব ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের লোকেদেরও দিল্লি নিয়ে গিয়েছেন অভিষেক। অভিষেক তথা তৃণমূলের দাবি, মৃত চারজনই ‘কেন্দ্রীয় বঞ্চনা’র সাম্প্রতিকতম শিকার। কারণ, দু’টি পরিবারের কেউই কেন্দ্রের আবাস যোজনার টাকা পাননি। তিনি অভিযোগ করেন, ‘‘তিনটি ফুলের মতো শিশু মারা গিয়েছে। মাটির কাঁচা দেওয়াল ভেঙে মারা গিয়েছে তারা। এর দায় কার? বিচারব্যবস্থার কাছে আবেদন করেছি। এই ঘটনার পূর্ণ তদন্ত হওয়া উচিত। যাঁরা কথায় কথায় জনস্বার্থ মামলা করেন, সেগুলি তো আর এখন জনস্বার্থ মামলা নেই, সেগুলি সবই রাজনীতির মামলা হয়ে গিয়েছে। তাঁদের প্রশ্ন করছি, ১০০ দিনের টাকা কেন বন্ধ, আবাসের টাকা কেন বন্ধ। তা নিয়ে ক’টা জনস্বার্থ মামলা হয়েছে? তাঁর কথায়, ‘‘পরিবারের এত শোকের দিনেও এক কাপড়ে এরা দিল্লি যাওয়ার জন্য প্রস্তুত। কুর্নিশ জানাই এই ভাইদের। বেদনাদায়ক ঘটনার পর আমার সঙ্গে দেখা করে দিল্লি যাব বলে জানিয়েছে। এই ভায়েদের জন্য প্রতিবাদে আমরা দিল্লিতে সরব হব।’’ বিমানবন্দরেই মৃত শিশুদের পরিবার পরিজনকে দেখিয়ে অভিষেক বলেন, ‘‘ভোটের সময় রাজনীতি করব। কিন্তু জনপ্রতিনিধিদের হিসেবে সকল সমান চোখে দেখে পরিষেবা দেব। গণতন্ত্রে মানুষ শেষ কথা বলবে। শুনলাম, পূরবী হাঁসদা নামে বৃদ্ধা মাটির দেওয়াল ভেঙে মারা গিয়েছেন। বীরভূমের লাভপুরে একই ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনার দায় প্রধানমন্ত্রী, গিরিরাজ সিংহ ও বাংলার বিজেপি নেতাদের। তাদের হাতে রক্ত লেগে আছে।’’ তাঁর আরও দাবি, ‘‘গিরিরাজ সিংহকে গ্রেফতার করা উচিত। ৩৩ লক্ষ লোকের তালিকা পাঠানো হয়েছিল। ১১ লক্ষ মানুষের আধার সিডিং (আধার ও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সংযোগ) হয়ে গিয়েছে। রাজ্য সরকার তালিকাও পাঠিয়ে দিয়েছে, তাও আবাসের টাকা বন্ধ। কেন?’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘এত ভয় কিসের? ট্রেন আটকাচ্ছেন, বিমান বাতিল করাচ্ছেন। সারা দিল্লিতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। তৃণমূলের কর্মসূচি বন্ধ করার সব ব্যবস্থা করা হয়েছে। এক হাজার নরেন্দ্র মোদী ও ১০ হাজার বিজেপি নেতা বাধা দিলেও বাংলার মানুষের প্রতিবাদ চলবে। যতদিন না টাকা দেবে, ততদিন লড়াই চালু থাকবে। প্রয়োজনে লড়াই চলবে অনির্দিষ্ট কালের জন্য। মানুষের ক্ষমতা কী, সেটা ওদের বুঝিয়ে দিতে হবে।’’

দিল্লি পৌঁছেও হুঁশিয়ারি

রবিবার রাতে দিল্লি পৌঁছেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন অভিষেক। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘‘আবার বলছি, যদি পারেন আমাকে আটকান।’’ বিমানবন্দরের বাইরে অভিষেক বলেন, ‘‘বাংলার প্রাপ্য টাকা না পাওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। পারলে আটকে দেখাও।’’ কর্মসূচি আটকাতে ট্রেন, বিমান বাতিল করেছে বিজেপি, এই অভিযোগও তোলেন তিনি। ১০০ দিনের কাজ করেও দু'বছর ধরে যে জব কার্ড হোল্ডাররা টাকা পাননি, তাঁরাও দিল্লির উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। প্রয়োজনে অনন্তকাল ধরে আন্দোলন চলবে বলে জানিয়েছেন অভিষেক। তৃণমূলের এই কর্মসূচি নিয়ে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘কেউ টাকা আটকায়নি। হিসেব চাওয়া হয়েছে। যন্তর মন্তরে যা খুশি করুন, এপাং, ওপাং, ঝপাং, আমরা সবাই কোলা ব্যাঙ। যন্তরমন্তরের বাইরে কিছু করতে যান, ওখানে কিন্তু বিনীত গোয়েল নেই, অমিত শাহের পুলিশের লাঠির দৈর্ঘ্য ৬ ফুট।"

অন্য বিষয়গুলি:

Abhishek Banerjee TMC TMC Dharna at Delhi
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy