অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।
মনোনয়ন পর্বে গতি আনতে চান তিনি। তাই দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূলের পঞ্চায়েত ভোটের প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করে দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার বনগাঁ ও হাবরায় জনসংযোগ যাত্রার কর্মসূচি শেষ করার পর রাতে বারাসাত কাছারি ময়দানের তাঁবুতে পঞ্চায়েত ভোটের প্রার্থী তালিকা নিয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে বসেন তিনি। সেখানেই জেলা পরিষদ, পঞ্চায়েত সমিতি ও গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রার্থী তালিকায় চূড়ান্ত অনুমোদন দেন। প্সঙ্গত, অভিষেকের নিজের লোকসভা কেন্দ্র ডায়মন্ড হারবারও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলারই অন্তর্গত।
আপাতত রাজ্যের সবচেয়ে বড় জেলা দক্ষিণ ২৪ পরগনা। প্রশাসনিকভাবে এই জেলার বিভাজন হলেও এখনও জেলা পরিষদ একটিই রয়েছে। গোটা জেলায় রয়েছে মোট ৮৫টি জেলা পরিষদ আসন, ২৯টি পঞ্চায়েত সমিতি এবং ৩১০টি গ্রাম পঞ্চায়েত। গত ৯ জুন থেকে পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন পর্ব শুরু হয়ে গেলেও দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী তালিকায় চূড়ান্ত অনুমোদন না দেওয়ায় মনোনয়ন জমা দিতে পারেননি তৃণমূলের প্রার্থীরা। সোমবার থেকে যাতে দলের প্রার্থীরা ত্রিস্তর পঞ্চায়েতে নিজেদের মনোনয়ন জমা দিতে পারেন, সেই লক্ষ্যেই রবিবার বৈঠকে বসেছিলেন অভিষেক।
এ বারের পঞ্চায়েত ভোটের আগে জনসংযোগ যাত্রার সূচনা করেছিলেন অভিষেক। এই কর্মসূচির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল, পঞ্চায়েত ভোটে নিজেদের এলাকার ‘যোগ্যতম’ প্রার্থী বেছে নিতে গোপন ব্যালটে ভোটদান। এলাকার মানুষ যাতে নিজের পছন্দের প্রার্থী বেছে নিতে পারেন, সেই জন্যই ব্যালটের মাধ্যমে পছন্দের প্রার্থী চয়নের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কিন্তু গত বুধবার পঞ্চায়েত ভোটের নির্ঘন্ট ঘোষণা করে দেন সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিংহ। ওইদিন নদিয়া জেলায় জনসংযোগ যাত্রার কর্মসূচিতে ছিলেন অভিষেক। সেদিন থেকেই ভোটের জন্য ‘আদর্শ আচরণবিধি’ চালু হয়ে যাওয়ায় বন্ধ করে দিতে হয় দলীয় উদ্যোগে গোপন ব্যালটে প্রার্থী বাছাইয়ের ভোট। যেহেতু রাত ১০টার পর কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচি করার অনুমতি কমিশন দেয়নি, তাই এই কর্মসূচির অংশ রাতের অধিবেশনও বন্ধ করে দিয়েছেন অভিষেক। দলীয় স্তরে প্রার্থী চয়নের ভোটের আগেই পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষণা হয়ে গিয়েছে বলে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা নেতৃত্বকে নিজেদের প্রার্থী তালিকা তৈরি করতে নির্দেশ দেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। দলীয় সূত্রের খবর, সেই তালিকাই রবিবার রাতে অনুমোদন করেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।
নির্বাচন কমিশনার ঘোষণা করেছিলেন, আগামী ৮ জুলাই একদফাতেই পঞ্চায়েত ভোট হবে রাজ্যে। মনোনয়ন জমা শুরু হওয়ার কথা ছিল ৯ জুন থেকে। ঘো,ণা অনুযায়ী ১৫ জুন পর্যন্ত মনোনয়ন জমা দিতে পারার কথা প্রার্থীদের। আর ২০ তারিখ মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন। ভোটগণনা ১১ জুলাই। যদিও পঞঅচায়েত ভোট নিয়ে সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে মামলার শুনানি শুরু হয়েছে। সেই মামলার প্রেক্ষিতে মনোনয়নের সমসীমা বাড়লেও বাড়তে পারে। কিন্তু রাজ্য নির্বাচন কমিশনের হিসেব বলছে, শুক্রবার থেকে শুরু-হওয়া মনোনয়ন পর্বে প্রাথমিক ভাবে শাসকদল খানিক পিছিয়ে পড়েছে। তবে সোমবার থেকে তাদের মনোনয়নে গতি আসবে বলে মনে করা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy