দু’জনে: তৃণমূল নেতা দুলাল বিশ্বাস খুনের পরে বগুলায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সোমবার। ছবি: সুদীপ ভট্টাচার্য
খাসতালুকে দলের ব্লক সভাপতি খুন হয়ে যাওয়ার পরে প্রায় যুদ্ধকালীন তৎপরতায় ঘর গোছাতে নামলেন তৃণমূলের দুই শীর্ষ নেতা।
সোমবার নদিয়ার হাঁসখালিতে গিয়ে যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় এই খুনের জন্য কার্যত বিজেপি-কেই দায়ী করেন। অভিষেক দাবি করেন, ‘‘বাংলার শক্ত মাটিকে নরম করতে দিলীপ ঘোষদের নেতৃত্বে অস্ত্র নিয়ে মিছিল করা হচ্ছে। এই খুন তারই ফল। যারা জড়িত, যাদের ধরা হয়েছে, তারা বিজেপি-র সঙ্গে সক্রিয় ভাবে যুক্ত।’’
যদিও রবিবার রাতে হাঁসখালির বগুলায় এই খুনের পিছনে ঠিক কারা রয়েছে, তা স্পষ্ট করে বলেনি পুলিশ। যিনি খুন হয়েছেন, সেই দুলাল বিশ্বাস আগে সিপিএম করতেন। অনেকের আপত্তি সত্ত্বেও তাঁকে হাঁসখালি ব্লক সভাপতি ও বগুলা ১ পঞ্চায়েতের প্রধান করেছিলেন প্রাক্তন জেলা সভাপতি। দুলালের ‘পুরনো শত্রু’ বিমল বিশ্বাসও এখন কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে। খুন-পাল্টা খুনের মামলায় দু’জনেই জেল খেটেছেন। ঘটনার পর থেকেই বিমল এলাকাছাড়া।
টানা জেরার পরে সোমবার রাতে যে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়, তারা কেউই বিজেপির সঙ্গে যুক্ত নয়। পুলিশ জানায়, ধৃতদের নাম শঙ্কর বিশ্বাস ও কমল মজুমদার। প্রথম জন বিমল বিশ্বাসের আত্মীয়, দ্বিতীয় জন তাঁরই ঘনিষ্ঠ বলে এলাকায় পরিচিত। ফলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে খুনের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
তৃণমূল নেতারা অবশ্য কোন্দলের কথা মানতে নারাজ। বরং রামনবমী থেকে বিজেপি যে রাজনীতি শুরু করেছে, এই ঘটনা তারই প্রতিফলন বলে মনে করছেন তাঁরা। পার্থবাবু দাবি করেন, ‘‘এক-একটা লোক অস্ত্র হাতে মিছিল করে প্ররোচনা দিচ্ছে। উদ্দেশ্য, তৃণমূলের জমি নড়বড়ে করে দেওয়া। মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনকে সতর্ক ও কঠোর হতে নির্দেশ দিয়েছেন।’’
বিজেপির নদিয়া জেলা সভাপতি আশুতোষ পাল অবশ্য পাল্টা বলেন, “তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই এই খুন। পুলিশ যাদের ধরেছে, তারা তো তৃণমূলের লোক বলে জানি।” জেলা তৃণমূল সভাপতি উজ্জ্বল বিশ্বাস আবার দাবি করেন, ‘‘সিপিএম এবং বিজেপি পরিকল্পিত ভাবে দুলালকে খুন করিয়েছে।’’ সিপিএমের জেলা সম্পাদক সুমিত দে অবশ্য তা উড়িয়ে দিয়ে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকেই দায়ী করেছেন।
যে দলীয় কার্যালয়ে দুলাল খুন হন, তার পাশে পাইপগানের যন্ত্রাংশ ও একটি ভোজালি পাওয়া গিয়েছে। পুলিশের সন্দেহ, চেনা কেউ ভাড়াটে দুষ্কৃতীদের দিয়ে খুন করাতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy