আসন্ন বিধানসভা ভোটে জোট গড়ার লক্ষ্যে একাধিক রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছেন আব্বাস সিদ্দিকী। —ফাইল চিত্র।
বিভিন্ন দলকে নিয়ে ফ্রন্ট নয়, আপাতত নিজের দলই ঘোষণা করতে চান আব্বাস সিদ্দিকী। বৃহস্পতিবার বিকেলে সাংবাদিক সম্মেলন করে নিজের রাজনৈতিক দল ঘোষণা করবেন ফুরফুরা শরিফের এই পিরজাদা। যদিও তিনি আগে ঘোষণা করেছিলেন, নিজের রাজনৈতিক দলের পাশাপাশি ১০টি রাজনৈতিক দলের ফ্রন্ট ঘোষণা করবেন।
সূত্রের খবর, বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে ফ্রন্ট নয়, শুধু নিজের রাজনৈতিক দলই ঘোষণা করবেন আব্বাস। কারণ, আসন্ন বিধানসভা ভোটে জোট গড়ার লক্ষ্যে একাধিক রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছেন তিনি। ইতিমধ্যেই কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে তাঁর আলোচনা অনেক দূর এগিয়েছে বলে খবর। গত রবিবার আবার প্রয়াত কংগ্রেস নেতা সোমেন মিত্রের পুত্র রোহনের সঙ্গে বৈঠক করে আব্বাস কথা দিয়েছেন, জোট হলে ২০১৬ সালে কংগ্রেসের জেতা কোনও আসনের দাবি তাঁরা জানাবেন না। আব্বাসের সঙ্গে কংগ্রেস শিবিরের পক্ষে জোটের আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নানও। তিনি জোট নিয়ে সম্প্রতি কংগ্রেস হাইকম্যান্ডকে একটি রিপোর্টও পাঠিয়েছেন। সেই রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরেই আব্বাসের দল ঘোষণা পর্যন্ত রাজ্যনেতৃত্বকে বিষয়টির ওপর নজর রাখতে নির্দেশ দিয়েছে এআইসিসি। পাশাপাশি, বাম দলগুলির সঙ্গেও আব্বাসের জোট আলোচনা চলছে বলেই সূত্রের খবর।
বুধবার এক আব্বাস-ঘনিষ্ঠ বলেন, ‘‘ভাইজান আপাতত নিজের দল ঘোষণা করেই রাজ্য রাজনীতির উত্তাপ মাপতে চাইছেন। যদি তিনি জোট ঘোষণা করে দেন, তা হলে জোট শরিকদের দলগত চরিত্র দেখার পর কংগ্রেস ও বামফ্রন্টের সঙ্গে ভাইজানের জোট আলোচনা ভেস্তেও যেতে পারে। তাই দল ঘোষণার পর কারও সঙ্গে জোট প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করার আগে সবপক্ষের সঙ্গেই কথা বলে নিতে চান তিনি।’’ যদিও আব্বাসের দলের সঙ্গে বাংলার ভোটে জোটের ঘোষণা করে দিয়েছেন অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিনের (মিম) প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়াইসি। গত ৩ জানুয়ারি ফুরফরা শরিফে এসে মিম প্রধান আব্বাসের ওপর তাঁর আস্থা জ্ঞাপন করে জোটের কথা ঘোষণা করে গিয়েছেন। তাই জোট ঘোষণা না করলেও ভিতরে ভিতরে জোটের বিষয়ে নিজের মতো করে ঘুঁটি সাজিয়ে রাখছেন আব্বাস। আর তাঁর রাজনৈতিক প্রতিটি পদক্ষেপের ওপর নজর রাখছেন তৃণমূল শীর্ষনেতৃত্ব।
তৃণমূলের এক সংখ্যালঘু বিধায়ক বুধবার বলেন, ‘‘ধর্মগুরুর চোলা ছেড়ে যেদিন আব্বাস পুরোপুরি রাজনৈতিক যুদ্ধ নামবেন, সেদিন থেকেই তাঁকে ইঞ্চিতে ই়ঞ্চিতে জবাব দেওয়া শুরু করব আমরা। ফাঁকা মাঠে গোল দেওয়ার সুযোগ আব্বাস পাবেন না।’’ বস্তুত, আব্বাসকে ‘জবাব’ দেওয়ার জন্য তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের নেতাদের প্রস্তুত থাকতেও বলা হয়েছে। সেইমতো তাঁরা প্রস্তুতিও নিচ্ছেন। আব্বাস ময়দানে নামলেই তাঁরাও ধরাচূড়ো পরে মাঠে নেমে পড়বেন বলে শাসক শিবির সূত্রের খবর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy