রবিবার সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে দলের রাজনৈতিক খসড়া চূড়ান্ত হয়েছে। — প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
সীতারাম ইয়েচুরি কংগ্রেস সম্পর্কে যে ‘নরম’ মনোভাব নিতেন, তার প্রতিফলন থাকত সিপিএমের দলীয় দলিলেও। ইয়েচুরির প্রয়াণের পরে আপাতত সিপিএম পলিটব্যুরোর কো-অর্ডিনেটরের দায়িত্বে প্রকাশ কারাট। আগামী এপ্রিলে অনুষ্ঠিতব্য পার্টি কংগ্রেসের রাজনৈতিক রণকৌশলগত খসড়ায় থাকতে চলেছে সেই কারাট দর্শনই। সূত্রের খবর, কংগ্রেস সম্পর্কে ‘প্রয়োজনীয়’ সমালোচনা রাখা হবে রাজনৈতিক রণকৌশলগত খসড়ায়। যা আগামী ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশ্যে আনবে সিপিএম।
শুক্রবার থেকে নিউটাউনে শুরু হয়েছিল সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক। রবিবার দুপুরে তা শেষ হয়েছে। সেই বৈঠকেই রাজনৈতিক খসড়া চূড়ান্ত হয়েছে। সিপিএম সূত্রে খবর, রাজনৈতিক খসড়ায় সাম্প্রদায়িকতা প্রশ্নে কংগ্রেসের ‘আপসকামী’ ভূমিকার সমালোচনা থাকছে। পাশাপাশি এ-ও উল্লেখ থাকছে, বিজেপির বিরোধিতা তীব্র করার পথেই সিপিএম হাঁটবে। কিন্তু তার জন্য কংগ্রেস-সহ অন্যান্য অবিজেপি দল যদি ধর্মনিরপেক্ষতার প্রশ্নে ‘নরম’ মনোভাব দেখায়, তারও বিরোধিতা করবে সিপিএম।
তিন দিনের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে বাংলার একাধিক নেতা রাজ্যের বাস্তবতার প্রসঙ্গ তুলে কংগ্রেসের সঙ্গে সখ্যের কথা উল্লেখ করেছেন। কিন্তু সর্বভারতীয় প্রেক্ষাপটে কংগ্রেসের সম্পর্কে মূল্যায়ন থাকবে সমালোচনামূলক দৃষ্টিভঙ্গিতেই। বাংলার নেতারা যেমন কংগ্রেসের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রেখে চলার কথা বলেছেন, তেমন কেরলের নেতারা তাঁদের রাজ্যের প্রেক্ষাপটে কংগ্রেস বিরোধিতার কথা বলেছেন।
প্রায় এক দশক হতে চলল বিজেপি এবং কংগ্রেসের থেকে সমদূরত্বের লাইন থেকে সরে এসেছে সিপিএম । দল মৌলিক ভাবে সেই লাইন বদল করছে না। কংগ্রেস এবং বিজেপিকে এক বন্ধনীতেও ফেলছে না। তবে আগের মতো ‘নরম’ও থাকছে না। উল্লেখ্য, আগামী বছর বাংলার সঙ্গে কেরলেও বিধানসভা ভোট। দুই রাজ্যে কংগ্রেসের সঙ্গে দু’রকম সম্পর্ক সিপিএমের।
তন্ময়ের শাস্তিতে সিলমোহর
এক মহিলা সাংবাদিককে হেনস্থা-কাণ্ডে সিপিএমের উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য তন্ময় ভট্টাচার্যকে আগেই ছ’মাসের জন্য সাসপেন্ড করেছিল রাজ্য কমিটি। কেন্দ্রীয় কমিটি সেই সিদ্ধান্তে আনুষ্ঠানিক সিলমোহর দিয়েছে।
রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে সরব
বিভিন্ন অবিজেপি রাজ্যে রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে সিপিএম। কেরল, তামিলনাড়ুর পাশাপাশি বাংলার কথাও উল্লেখ করেছেন কারাট। রাজ্যপাল প্রশ্নে তৃণমূলের সুরেই সুর মিলিয়েছে সিপিএম। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের নতুন উপাচার্য নিয়োগ-বিধিকে ‘ফ্যাসিবাদী’ বলা হয়েছে। কারাট জানিয়েছেন, এ নিয়ে কেরল এবং তামিলনাড়ু সরকার সুপ্রিম কোর্টে মামলা করবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy