—প্রতীকী ছবি।
এক তৃণমূল প্রার্থীর শাশুড়িকে খুন করার অভিযোগ উঠল মালদহের ইংরেজবাজারে। তৃণমূল প্রার্থী মাম্পি খাতুনের দাবি, তাঁর শাশুড়ির উপর হামলা করেছে নির্দল প্রার্থীর লোকজনেরা। অভিযোগ অস্বীকার করেছেন নির্দল প্রার্থী লাকি আলি।
স্থানীয় তৃণমূল নেতা আজহার শেখের দাবি, তাঁদের দলের প্রার্থী মাম্পি খাতুনের বাড়িতে দলবল নিয়ে হামলা চালান নির্দল প্রার্থী লাকি। বোমাবাজি চলার সময়েই বাড়ির সামনে পড়ে যান তৃণমূল প্রার্থীর শাশুড়ি তসলিমা বেওয়া। গ্রামবাসীদের একাংশের বক্তব্য, তাঁকে ধরাধরি করে মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, বোমার আঘাতেই মৃত্যু হয়েছে ওই বৃদ্ধার। পুলিশের তরফে অবশ্য এখনও পর্যন্ত এই মৃত্যুর খবর স্বীকার করা হয়নি।
শনিবার সকাল থেকে ভোটদান পর্ব শুরু হওয়ার পরেই বহু জায়গা থেকে ব্যালট পেপার ছিনতাই, আগুন লাগিয়ে দেওয়া, বুথ দখলের অভিযোগ এসেছে। শনিবার যে প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে, তার মধ্যে মুর্শিদাবাদেই পাঁচ জন খুন হয়েছেন। নদিয়ার চাপড়ায় প্রাণ গিয়েছে শাসকদলের কর্মীর। আর এক তৃণমূল কর্মী প্রাণ হারিয়েছেন মালদহের মানিকচকে। কোচবিহারের দক্ষিণ বিধানসভার ফলিমারি গ্রাম পঞ্চায়েতের ভোটেরহাট ৩৮ নম্বর বুথের মধ্যেই বোমাবাজি এবং গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে মাধব বিশ্বাস নামে এক বিজেপি এজেন্টের। বিরোধীরা যেমন হিংসা নিয়ে শাসকদলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলছে, তেমন তৃণমূলের নেতাদের বক্তব্য, একের পর এক ঘটনায় তাঁদের কর্মীদের মৃত্যুতেই স্পষ্ট, কারা হিংসাশ্রয়ী নির্বাচন করছে। তবে রাজনৈতিক মহলের প্রশ্ন, কোথায় প্রশাসন, কোথায় নির্বাচন কমিশন, কোথায়ই বা গেল কেন্দ্রীয় বাহিনী?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy