আমপানের দাপটে ভেঙেছে স্কুলের ছাদ। —নিজস্ব চিত্র।
ঘূর্ণিঝড় আমপানে তছনছ হয়ে গিয়েছিল খুদে পড়ুয়াদের স্কুলবাড়ি। তার বছর দুয়েক কেটে গেলেও মেরামতি হয়নি পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদলের প্রাথমিক স্কুল। বাধ্য হয়েই স্কুলের অফিসঘরে পড়তে হচ্ছে কচিকাঁচাদের।
মহিষাদল থানার লক্ষ্যা ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ওই স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, চকদ্বারিবেড়িয়া প্রাথমিক স্কুল মেরামতির জন্য বার বার প্রশাসনের কাছে আবেদন করেও সুরাহা হয়নি। স্কুলের এক শিক্ষিকা শিখা চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমপানের জেরে স্কুলের চালাঘর উড়ে গিয়েছে। দেওয়ালের অবস্থাও তথৈবচ। এই স্কুল বিল্ডিংয়ে বাচ্চাদের পড়াশোনা করা একেবারেই অসম্ভব। বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের সর্বস্তরে বার বার আবেদন করা হয়েছে। সবাই জানিয়েছেন, কাজ হবে। কিন্তু কবে, জানা নেই! বাধ্য হয়েই বাচ্চাদের নিয়ে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বসার এক কামরার অফিসঘরে প্রথম থেকে চতুর্থ শ্রেণির ক্লাস চালাতে হচ্ছে।’’
স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক তিলক চক্রবর্তীর দাবি, ‘‘আমপানে ক্ষতিগ্রস্ত ওই প্রাথমিক স্কুলের জন্য কোনও বরাদ্দ আসেনি। কবে সেই অর্থ বরাদ্দ হবে? স্থানীয় পঞ্চায়েত সসদ্য স্বপন দাসের অভিযোগ, ‘‘আমপান চলে গিয়েছে বছর দুয়েক আগে। কিন্তু তার ক্ষতচিহ্ন আজও বয়ে বেড়াচ্ছে চকদ্বারিবেড়িয়া প্রাথমিক স্কুল। বিডিও থেকে জেলা প্রশাসন, প্রাথমিক শিক্ষা দফতর থেকে বিধায়ক— সর্বত্রই আবেদননিবেদন চলছে। কিন্তু উদাসীন প্রশাসনকে নাড়ানো দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে।’’ ব্লক আধিকারিক যোগেশচন্দ্র মণ্ডল অবশ্য আশ্বাস দিয়েছেন, স্কুল মেরামতির জন্য নির্দিষ্ট বরাদ্দ পেয়ে যাবেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy