জঙ্গলের বুক চিরে যাওয়া রেললাইনে প্রায়ই ট্রেনের ধাক্কায় হাতি মৃত্যুর ঘটনা ঘটে ডুয়ার্সে। তা আটকাতে ‘এলিফ্যান্ট ডিটেকশন সিস্টেম’ ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বন দফতর। তার ট্রায়াল রান চলছিল। সেই সময়েই হামলা! রেলের ঠিকাদারি সংস্থার এক কর্মীকে পা দিয়ে পিষে দিল একটি কুমকি হাতি।
বৃহস্পতিবার আলিপুরদুয়ার ডিভিশনের রাজাভাতখাওয়া স্টেশনের কাছে ঘটনাটি ঘটেছে। ঘটনার সময় সামনেই ছিলেন উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের জেনারেল ম্যানেজার চেতনকুমার শ্রীবাস্তব-সহ অন্যান্য আধিকারিকেরা। ‘এলিফ্যান্ট ডিটেকশন সিস্টেমের’ ট্রায়াল রানের জন্যই বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্প থেকে ওই কুমকি হাতিটিকে নিয়ে আসা হয়েছিল। হাতিটির নাম জোনাকি। ট্রায়াল রান চলাকালীন ওই রেললাইন দিয়ে কাঞ্চনকন্যা এক্সপ্রেস যাচ্ছিল। সেই সময়েই ঠিকাদারি সংস্থার কর্মী বছর পঞ্চান্নর সন্দীপ চৌধুরীকে পিষে দেয় জোনাকি। ওই ঘটনার পর তড়িঘড়ি সন্দীপকে আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
প্রসঙ্গত, হাতির মৃত্যু ঠেকাতে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের বিভিন্ন জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে যাওয়া রেললাইনেই ‘এলিফ্যান্ট ডিটেকশন সিস্টেম’ বসানো হচ্ছে। এই ডিভাইসের মাধ্যমে রেললাইনে হাতি এলেই তা সতর্ক করবে ট্রেনের চালক এবং আশপাশের স্টেশন মাস্টারকে।