ভয় পাচ্ছে সিবিআই। সেই ভয়ের কথা জানিয়ে তারা চিঠিও পাঠিয়েছে রাজ্য প্রশাসনের কাছে। চিঠিতে স্পষ্ট ভাবেই সেই ভয়ের কথা লেখা হয়েছে। তাদের ভয় কাটাতে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের আর্জিও জানানো হয়েছে ওই চিঠিতে। রাজ্যের ডেঙ্গি পরিস্থিতি বেশ আতঙ্কজনক। প্রতি দিন হাজারখানেক মানুষ নতুন করে ডেঙ্গিতে সংক্রমিত হচ্ছেন। সেই আবহেই বিধাননগর পুরনিগমকে ওই চিঠি পাঠিয়েছে সিবিআই।
রাজ্যের গত কয়েকদিনের ডেঙ্গি পরিস্থিতিই সিবিআইয়ের আতঙ্কের কারণ। তবে সেই আতঙ্ক নিয়ে কোনওরকম লুকোছাপা করেনি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। বরং এ ব্যাপারে তড়িঘড়ি বিধাননগর পুরনিগমের সাহায্যপ্রার্থনা করেছে তারা। চিঠি লিখে জানিয়েছে ভয়ের কথা। সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে সিবিআইয়ের দফতর রয়েছে। সল্টলেকেও অনেকে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন। সেই আবহে সিবিআইয়ের স্পেশ্যাল ক্রাইম ব্রাঞ্চের চিঠি গিয়েছে বিধাননগর পুরনিগমের চেয়ারম্যান সব্যসাচী দত্তের কাছে। জানানো হয়েছে, সিজিও কমপ্লেক্সে বড্ড মশা বেড়েছে। পুরনিগম যেন এ ব্যাপারে অবিলম্বে জরুরি পদক্ষেপ করে। চিঠি যে এসেছে সে কথা স্বীকার করেছেন পুরপিতা সব্যসাচীও। তিনি বলেছেন, ‘‘সিবিআই স্পেশ্যাল ক্রাইম আমার কাছে চিঠি পাঠিয়েছিল। আমি কাজ করিয়েও দিয়েছি।’’

মশা নিধনে দ্রুত পদক্ষপ করেছে বিধাননগর। গ্রাফিক— শৌভিক দেবনাথ
গত ৭ নভেম্বর, সোমবারই সিবিআইয়ের সিজিও কমপ্লেক্সের অফিস থেকে ওই চিঠি যায় বিধাননগর পুরনিগমে। সব্যসাচীর কাছে অবশ্য সেই চিঠি এসে পৌঁছয় ৯ নভেম্বর। সূত্রের খবর, চিঠিতে সিবিআই বেশ জোর দিয়েই বলেছে মশার উপদ্রব কমাতে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথা। তারা যা লিখেছে, তার সারমর্ম এই যে, সিজিওতে মশার উপদ্রব বাড়ছে। কর্মীদের কাজ করতে সমস্যাও হচ্ছে। তাই মশা মারার জন্য পুরনিগমের তরফে যা যা ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে সেগুলো যেন সিজিও কমপ্লেক্সেও করা হয়। সূত্রের খবর, ঠিক কী ধরনের ব্যবস্থা চাওয়া হচ্ছে পুরনিগমের কাছ থেকে, তা-ও স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছিল সিবিআই। চিঠিতে তারা লিখেছিল, মসকুইটো রেপেল্যান্ট বা ফগ মেশিন দিয়ে যেন মশা তাড়ানোর ব্যবস্থা করা হয়। শনিবার সব্যসাচী জানিয়েছেন, ‘‘চিঠিটা পেয়েছিলাম ৯ তারিখ। আজ কাজ শেষ হয়েছে। ওরা আজ ‘ওয়ার্ক ডান’ বলে লিখেও দিয়েছে।’’
কিন্তু হঠাৎ মশা নিয়ে সিজিওতে আতঙ্ক কেন? সব্যসাচী বলেছেন, ‘‘ওদের কেউ আক্রান্ত হয়েছেন বলে শুনিনি। এটা পুরোটাই আগাম সতর্কতা মূলক ব্যবস্থা। ডেঙ্গি এই সময়টা হয়। আমার কাছে এমন কোনও বিজ্ঞান নেই যার সাহায্যে আমি ডেঙ্গিকে পুরোপুরি নির্মূল করে দিতে পারব। তবে শীত পড়লে ধীরে ধীরে মশা কমবে। ডেঙ্গির প্রকোপও কমবে।’’