পশ্চিমবঙ্গ সরকারের একঝাঁক মন্ত্রীকে গঙ্গাসাগর মেলা পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। — ফাইল চিত্র।
রাত পোহালেই মকর সংক্রান্তি! যদিও তিথি অনুযায়ী, শনিবার থেকেই পুণ্যস্নানের ‘পবিত্র সময়’ শুরু হয়ে গিয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টাই সাগর এবং গঙ্গার মিলনতীর্থে ডুব দিতে পারবেন তীর্থযাত্রীরা। আর এ বার কুম্ভমেলার সূচি না থাকায় রেকর্ড সংখ্যক ভিড়ের আশঙ্কা করছে রাজ্য প্রশাসন। তাই পশ্চিমবঙ্গ সরকারের একঝাঁক মন্ত্রীকে গঙ্গাসাগর মেলা পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত দু’দিন ধরে একে একে দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীরা ঘাঁটি গেড়েছেন সাগরদ্বীপে। পশ্চিমবঙ্গ-সহ ভিন্রাজ্য তথা বিদেশ থেকেও মকর সংক্রান্তি তিথিতে গঙ্গাসাগরে পূন্যস্নান করতে আসেন বহু মানুষ। কলকাতা থেকেই মূলত তীর্থযাত্রীরা মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন সাগরদ্বীপে রওনা হন। এ ক্ষেত্রে কলকাতা থেকে বাস বা ট্রেনে চেপে রওনা হন কাকদ্বীপের হারউড পয়েন্ট কিংবা লট-৮এ। সেখান থেকে ভেসেলে চেপে যেতে হয় সাগরদ্বীপের কচুবেড়িয়া। ভেসেল থেকে কচুবেড়িয়ায় নেমে বাসে করে যেতে হয় গঙ্গাসাগর মেলা প্রাঙ্গণে।
তাই পৃথক ভাবে কাকদ্বীপ, নামখানা ও সাগরে সব রকম বন্দোবস্ত রাখতে হয় রাজ্য প্রশাসনকে। তাই রাজ্যের মন্ত্রীদেরও সেই অনুযায়ী দায়িত্ব বণ্টন করা হয়েছে। শনিবার থেকে কাকদ্বীপ লট-৮এ থাকছেন পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তাঁর সঙ্গে লট-৮এ থাকতে বলা হয়েছে পরিবহণ প্রতিমন্ত্রী দিলীপ মণ্ডলকে। এ ছাড়াও কাকদ্বীপের তীর্থযাত্রীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে সজাগ থাকতে বলা হয়েছে স্থানীয় বিধায়ক তথা প্রাক্তন মন্ত্রী মন্টুরাম পাখিরাকে।
মেলা আয়োজনের ৮৫ শতাংশ কাজ করে জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতর। তাই সরকারের যিনিই জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতরের মন্ত্রী হন, তাঁকে মেলার শুরুর সময় থেকে শেষ পর্যন্ত থাকতেই হয়। তাই ১০ তারিখে গঙ্গাসাগর মেলা শুরু হওয়ার পর থেকেই দফতরের মন্ত্রী পুলক রায় গঙ্গাসাগরেই রয়েছেন। সাগরের বিধায়ক বঙ্কিম হাজরা আবার বর্তমানে সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী। তিনিও সারাক্ষণ থাকছেন গঙ্গাসাগর মেলাপ্রাঙ্গণেই। জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতরের পাশাপাশি, মেলা আয়োজনে বড় ভূমিকা থাকে পরিবহণ ও বিদ্যুৎ দফতরের। পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী ও বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসও রয়েছেন গঙ্গাসাগরে। এ ছাড়াও রাজ্যের দমকলমন্ত্রী সুজিত বসুও তাঁদের সঙ্গেই রয়েছেন। মেলায় যাতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা না ঘটে, তাই মেলাপ্রাঙ্গণে সজাগ থাকে দমকল বাহিনী। নিজের দফতরের সেই প্রস্তুতি মেলায় এসে খতিয়ে দেখেছেন মন্ত্রী সুজিত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy