নয়াচর ঘুরে দেখছেন অতিরিক্ত মুখ্যসচিব অত্রি ভট্টাচার্য। — নিজস্ব চিত্র।
নন্দীগ্রাম আন্দোলনের সময় সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছিল পূর্ব মেদিনীপুরের নয়াচর। হলদিয়া বন্দরের অদূরে হুগলি নদীর বুকে জেগে ওঠা সেই বিচ্ছিন্ন দ্বীপ নয়াচরের কি এ বার সুদিন ফিরতে চলেছে? দিন কয়েক আগে হাওড়ার প্রশাসনিক সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যে নয়াচর নিয়ে নতুন সম্ভাবনা তৈরি হয়। নবান্নে শুরু হয়েছে তৎপরতাও। কোন কোন ক্ষেত্রে সম্ভাবনা রয়েছে, তা খতিয়ে দেখতে বুধবার, রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব অত্রি ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে প্রশাসনিক আধিকারিকদের একটি দল নয়াচর পরিদর্শনে যায়।
নয়াচরের বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি এই দ্বীপকে কী ভাবে কাজে লাগানো যায়, তার বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখেন তাঁরা। অত্রি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী এখানে শুধু মাছ চাষ নয়, ইকো ট্যুরিজম, সোলার এনার্জি পার্কও গড়ে তোলার চিন্তাভাবনা করছেন। বিভিন্ন দফতর এখানে এসেছে, সমীক্ষা করা হচ্ছে। আমরা নয়াচর পরিদর্শন করে মুখ্যসচিবকে রিপোর্ট দেব। তার পর তা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পৌঁছবে।”
বহু বছর ধরে নয়াচরে বসবাস করছেন দক্ষিণ ২৪ পরগণা ও পূর্ব মেদিনীপুরের বিভিন্ন এলাকার মানুষ। মূলত মাছ চাষ ও নদীর উপর নির্ভর করেই জীবিকা নির্বাহ করেন নয়াচরবাসী। অভিযোগ, এত দিন দ্বীপের বাসিন্দাদের স্বাচ্ছন্দের দিকে নজর পড়েনি প্রশাসনের। বুধবার জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজিকে হাতের কাছে পেয়ে দাবিদাওয়া জানান বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, দ্বীপে যাতায়াতের কোনও পাকা রাস্তা নেই। হলদিয়ার মূল ভূখন্ডের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য একটি জেটি থাকলেও সংস্কারের অভাবে তা ভগ্নপ্রায়। নৌকা চলে দিনে মাত্র এক বার। স্বাস্থ্য, শিক্ষা-সহ জীবনধারণের ন্যূনতম স্বাচ্ছ্বন্দ্যের ব্যবস্থার দাবিও তাঁরা জানান।
রাজ্য সরকার নয়াচর নিয়ে নড়েচড়ে বসতেই এলাকার বাসিন্দারা এই দ্বীপ নিয়ে নতুন ভাবে বাঁচার স্বপ্ন দেখছেন। স্থানীয় বাসিন্দা মানসী ভক্তা বলেন, “ওঁরা আশ্বাস দিয়ে গেলেন, ভাল কিছু হবে। আমাদের দাবি, হাসপাতাল, স্কুল-সহ অন্যান্য পরিকাঠামো গড়ে উঠুক। জেলাশাসককে সবই জানিয়েছি। প্রশাসন মুখ তুলে তাকালে নয়াচরবাসীর জীবন বদলে যাবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy