Advertisement
২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
North Bengal Medical College and Hospital

তদন্ত শুরু কমিটির, তবুও মেটেনি ক্ষোভ

বুধবার রাতে কলেজের তরফে ‘থ্রেট কালচার’ চালানোর অভিযোগে এক জন হাউসস্টাফ, এক জন ইনটার্ন এবং এক আরএমও-র বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানো হয়েছিল।

—ফাইল ছবি।

সৌমিত্র কুন্ডু
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৭:২২
Share: Save:

উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে একাধিক দুর্নীতির তদন্ত শুরু করল অধ্যক্ষের গড়া পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি। বৃহস্পতিবার কমিটি প্রাথমিক কাজ শুরু করেছে। তিন দিনের মধ্যে তাদের রিপোর্ট দেওয়ার কথা। বুধবার ওই কলেজে ‘হুমকি ও শাসানির সংস্কৃতি’ (থ্রেট কালচার)-কে মদত দেওয়া, পরীক্ষার নম্বর বাড়ানো, পাশ করাতে টাকা নেওয়ার মতো অনিয়মে আন্দোলন করেন পড়ুয়াদের একাংশ। চিকিৎসকদের একাংশ তাঁদের পাশে ছিলেন। পড়ুয়াদের ক্ষোভের মুখে পড়ে ডিন (স্টুডেন্ট অ্যাফেয়ার্স) সন্দীপ সেনগুপ্ত এবং সহকারী ডিন সুদীপ্ত শীল ইস্তফা দেন। দাবি উঠেছিল অধ্যক্ষ ইন্দ্রজিৎ সাহার ইস্তফারও। আজ, শুক্রবার ওই সব অভিযোগ ঘিরে কলেজ কাউন্সিলের জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছে। সেখানে আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের প্রতিনিধিও থাকবেন।

বুধবার রাতে কলেজের তরফে ‘থ্রেট কালচার’ চালানোর অভিযোগে এক জন হাউসস্টাফ, এক জন ইনটার্ন এবং এক আরএমও-র বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানো হয়েছিল। শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের ডিসি (পশ্চিম) বিশ্বচাঁদ ঠাকুর বলেন, “মেডিক্যাল কলেজ থেকে আমাদের কিছু তথ্য জানানো হয়েছে। বিস্তারিত খোঁজ নেওয়া হবে।”

তদন্ত কমিটির মাথায় রয়েছেন মেডিক্যাল কলেজ সুপার তথা ভাইস প্রিন্সিপাল সঞ্জয় মল্লিক। এ ছাড়া অন্য একাধিক বিভাগের প্রধানেরা রয়েছেন কমিটিতে। তবে কমিটি অভিযোগ খতিয়ে দেখার কাজ কতটা করতে পারবে, তা নিয়েও চিকিৎসকদের একাংশের ধন্দ রয়েছে। পড়ুয়াদের একাংশের দাবি, অনেক বিভাগীয় প্রধান কলেজের পরীক্ষায় নম্বর বাড়ানোর ‘দুর্নীতিতে’ যুক্ত। অধ্যক্ষের বিরুদ্ধেও কলেজের অন্দরে ‘উত্তরবঙ্গ লবি’র ঘনিষ্ঠদের মদত দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সে ব্যাপারে কমিটির সদস্যেরা মন্তব্য করেননি। অধ্যক্ষের দাবি, “তদন্ত কমিটির প্রত্যেকেই দায়িত্ববান আধিকারিক, বিভাগীয় প্রধান বা ‘এমএসভিপি’। ‘থ্রেট কালচার’ নিয়ে, পরীক্ষায় নম্বর বাড়ানো-কমানোর অভিযোগ রয়েছে।” পরীক্ষা পরিচালনার ক্ষেত্রে দায়িত্ব ডিন, সহকারী ডিনের নেতৃত্বাধীন অ্যাকাডেমিক বিভাগের ঘাড়ে ঠেলে তিনি বলেন, “আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে, তা কমিটিকে, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হোক।” সন্ধ্যার পরে মেডিক্যাল কলেজে মিছিল করেন আন্দোলনকারীরা। তাঁদের তরফে শাহরিয়ার আলম বলেন, “ডিন ইস্তফা দিলেই সব শেষ নয়। অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিও রয়েছে আমাদের।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

North Bengal Medical College and Hospital
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE