ফাইল ছবি
ভুল সংশোধন না হওয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখা হোক প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া। বুধবার এমন আর্জিতে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা করলেন ১৯ জন। তাঁদের দাবি, ২০১৭ সালের টেট পরীক্ষার আটটি প্রশ্ন এবং তার উত্তরে ভুল রয়েছে। তা ত্রুটিমুক্ত না হওয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখা হোক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া। বিষয়টি নিয়ে বুধবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের একক বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। শুক্রবার মামলাটির শুনানি হতে পারে।
২০১৭ সালে প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষক নিয়োগে যোগ্যতার মান যাচাইয়ের পরীক্ষা ( টেট) হয়। সেই পরীক্ষার ফল বের হয় ২০২০-র জানুয়ারিতে। এর পর গত দু’বছরে ধাপে ধাপে নিয়োগের কাজ এগিয়ে নিয়ে যায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। এখন এই নিয়োগপ্রক্রিয়া স্থগিত করতে চেয়ে হাই কোর্টে মামলা দায়ের হল। মামলাকারী প্রসেনজিৎ সাহা-সহ ১৯ জনের অভিযোগ, ওই টেট পরীক্ষায় বাংলা, পরিবেশ বিদ্যা-সহ আটটি প্রশ্ন ভুল আছে। এর আগের দুটো টেট পরীক্ষাতেও প্রশ্নে ভুল ছিল। বার বার একই ভুল ‘ইচ্ছাকৃত ভাবে’ করে নিয়োগে গন্ডগোল করার অভিপ্রায় থাকতে পারে পর্ষদের। এখন ভুল সংশোধন না করে নিয়োগ প্রক্রিয়া চললে, তাতে ‘দুর্নীতি’ হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। তাই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্থগিতাদেশ চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন মামলাকারীরা।
আদালতে মামলাকারীরা তিনটি আবেদন জানিয়েছেন। এক, বিশেষজ্ঞ কমিটি তৈরি করে ওই পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ঠিক-ভুল খতিয়ে দেখা হোক। দুই, প্রশ্নে ভুল থাকার জন্য ওই পরীক্ষায় সবাইকে অতিরিক্ত নম্বর দেওয়া হোক। তিন, কেন বার বার একই ভুল হচ্ছে, তার তদন্তের নির্দেশ দিক আদালত। মামলাকারীদের আইনজীবী ফিরদৌস শামিম বলেন, ‘‘এটা দুর্ভাগ্যজনক যে নির্ভুল ভাবে পর পর তিনটি টেট পরীক্ষা নিতে পারল না পর্ষদ। সবগুলিতেই প্রশ্ন ভুল রয়েছে। এখন আদালতের কাছে আমাদের আবেদন থাকল, কী হয় দেখার।’’
প্রসঙ্গত, একই অভিযোগে মঙ্গলবারও একটি মামলা দায়ের হয়েছিল হাই কোর্টে। সেই মামলাটিও শুক্রবার শুনানি হতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy