এক আত্মীয়ের সঙ্গে উদ্ধার হওয়া (ডান দিক থেকে ) মগরাহাটের দুই যুবক। —নিজস্ব চিত্র।
ঋণ নেওয়ার নাম করে কলকাতায় ডেকে নিয়ে গিয়ে এক যুবক ও তাঁর সঙ্গীকে অপহরণ করেছিল ছয় দুষ্কৃতী। যুবকদের পরিবারের কাছে ৪ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছিল তারা। এমনকি, পুলিশের চোখে ধুলো দিতে কিছু ক্ষণ পর পর মোবাইলের লোকেশনও বদল করেছিল। তবু শেষরক্ষা হল না। দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাট থেকে অপহরণের পর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মোবাইলের সূত্র ধরেই কলকাতা থেকে ছ’জন অভিযুক্তকে পাকড়াও করল পুলিশ।
শুক্রবার সাংবাদিক সম্মেলনে ডায়মন্ড হারবারের পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘মগরাহাটের দুই যুবককে অপহরণের অভিযোগে কলকাতার সার্ভে পার্ক এলাকা থেকে ছ’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতেরা হল রোহন বর, রাজা দে, তনভির খান, প্রশান্ত চন্দ্র, রিয়াজ কাজি এবং তৌফিক লস্কর।’’
পুলিশ সূত্রে খবর, মগরাহাটের কামদেবপুর এলাকার বাসিন্দা জিয়াউল পৈলান এবং তাঁর বন্ধু রাকিবুল লস্করকে অপহরণ করা হয়েছিল। অভিযোগ, ঋণ প্রদানকারী সংস্থার কর্মী জিয়াউলকে ঋণ নেবে বলে টোপ দিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। ২৭ এপ্রিল, বুধবার সন্ধ্যায় মোটরবাইকের জন্য ঋণ নেওয়ার নাম করে জিয়াউলকে সার্ভে পার্ক এলাকায় ডাকে তারা। বৃহস্পতিবার রাকিবুলকে নিয়ে ওই যুবকদের সঙ্গে দেখা করতে যান জিয়াউল। অভিযোগ, দেখা করতে গেলে ওই দু’জনকে মোটরবাইকে তুলে নেয় দুষ্কৃতীরা। তার পর পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে মিনিট পাঁচেক অন্তর মোবাইল ফোনের লোকেশন বদল করতে থাকে। এর পর জিয়াউলদের আটকে রেখে ফোন করে তাঁদের পরিবারের কাছে ৪ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।
বৃহস্পতিবার মগরাহাট থানায় অভিযোগ দায়ের করে অপহৃতদের পরিবার। সঙ্গে সঙ্গে ডায়মন্ড হারবারের এসডিপিও মিতুন দে-র তত্ত্বাবধানে একটি তদন্তকারী দল গঠিত হয়। জিয়াউলের মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করে পুলিশ জানতে পারে, অপহরণকারীরা সার্ভে পার্ক থানা এলাকায় রয়েছে। এসডিপিও-র নেতৃত্বে সার্ভে পার্ক থানা এলাকায় যায় মগরাহাট থানার পুলিশ বাহিনী। সেখানকার একটি হোটেলে হানা দিয়ে ছ’জনকে গ্রেফতার করার পাশাপাশি অপহৃতদের উদ্ধার করে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy