ফাইল চিত্র।
করোনা সতর্কতার কারণে কাল, বুধবার থেকে রাজ্য বিধানসভার বাজেট অধিবেশন বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। তাই আজ, মঙ্গলবার ৫৫টি দফতরের বাজেট বরাদ্দের অনুমোদন নিয়ে নেওয়া হবে কোনও রকম বিতর্ক ছাড়াই। পরিভাষায় যাকে বলে গিলোটিনে দেওয়া। স্কুল শিক্ষা ও উচ্চ শিক্ষা ছাড়া সব দফতরের বাজেটই এ বার গিলোটিনে যাচ্ছে। তার পরেই শেষ হয়ে যাবে চলতি অধিবেশন। সোমবার কার্য উপদেষ্টা (বি এ) কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে এই সিদ্ধান্তে আপত্তি জানিয়ে সরকার পক্ষের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা।
দফতরওয়াড়ি বরাদ্দের জন্য বিধানসভার বর্ধিত অধিবেশন শুরু হয়েছিল শুক্রবার। কিন্তু করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে অধিবেশন চালানো উচিত হবে কি না, তা নিয়ে এ দিন সর্বদল বৈঠক ডাকা হয়। অধিবেশন বন্ধ করে দেওয়ার পক্ষে ছিলেন সরকার পক্ষের প্রতিনিধিরা। তবে সতর্কতার প্রয়োজনীয়তা স্বীকার করে নিয়েও অধিবেশন বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়ে বিরোধীরা প্রশ্ন তুলেছেন। বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান বলেন, ‘‘বিধানসভা এক সপ্তাহ মুলতুবি রেখে পরিস্থিতি দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া যেত। তা হলে তো ট্রেন, বাস, লঞ্চ সব বন্ধ করে দিয়ে ঘরে বসে থাকতে হয়! বাজেট নিয়ে সরকার আলোচনা করতে দিতে চায় না।’’
অধিবেশনে এ দিনই করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা চেয়েছিল বিরোধীরা। পরিষদীয়মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় তখন বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী গোটা পরিস্থিতির উপরে নজর রেখেছেন। একাধিক হাসপাতালে আইসোলেশন ওয়ার্ড তৈরি হয়েছে।’’ তার পরেই অধিবেশন নিয়ে সর্বদল এবং বি এ কমিটির বৈঠকে আলোচনায় বসেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে শাসক ও বিরোধী প্রতিনিধিরা তাঁদের মত জানান। অধিবেশন বাতিলের এই সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘‘বাজেট তো বটেই, তার সঙ্গে এনপিআর নিয়ে বিধানসভা অধিবেশনে আলোচনার প্রয়োজন। কিন্তু সরকার তা করতে দেবে না বলেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’’ পরিষদীয়মন্ত্রী তথা তৃণমূলের মহাসচিব পার্থবাবুর দাবি, ‘‘বৈঠকে তো ওঁরা সহমতই ছিলেন। বাইরে এসে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এ সব বলছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy