শনিবারের উপনির্বাচন বিজেপি-র কাছে বেশ চ্যালেঞ্জের ফাইল চিত্র।
পুরনো জায়গায় ফিরে যাওয়ার লড়াই বিজেপি-র। গত বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি জিতেছিল ৭৭ আসনে। কিন্তু দুই সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক ও জগন্নাথ সরকার ইস্তফা দেওয়ায় সেই সংখ্যাটা হয়ে যায় ৭৫। পরে দু’টি আসন জঙ্গিপুর এবং সমশেরগঞ্জে ভোট হলে কোথাওই জয় পায়নি বিজেপি। অন্য দিকে, পাঁচ বিধায়ক ইতিমধ্যেই তৃণমূল শিবিরে চলে গিয়েছেন। সেই অবস্থায় দাঁড়িয়ে শনিবারের উপনির্বাচন বিজেপি-র কাছে বেশ চ্যালেঞ্জের। শনিবার রাজ্যের চারটি আসনে উপনির্বাচন। এর মধ্যে কোচবিহারের দিনহাটা, নদিয়ার শান্তিপুর নিয়ে বেশি চাপে বিজেপি। কারণ, বিধানসভা ভোটে এই দুই আসনে জয় পেয়েছিল গেরুয়া শিবির।
১। খড়দহ ও গোসাবা বিজেপি-র কাছে হারা আসন। এ দু’টি নিয়ে ততটা তারা চিন্তিত নয়। কিন্তু দিনহাটা ও শান্তিপুর ধরে রাখতে না পারলে মান রক্ষা হবে না দলের। এই দুই আসনে জিততে না পারলে দলের বিপর্যস্ত চেহারা আরও বাড়বে। কর্মীদের মনোবল আরও ভেঙে যাবে।
২। প্রার্থী যেই হোন না কেন, দিনহাটায় লড়াই এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের লড়াই। গত বিধানসভা নির্বাচনে এই আসন থেকেই জিতেছিলেন তিনি। এ বার প্রচারেও প্রধান মুখও ছিলেন তিনি। তাই দিনহাটা শুধু বিজেপি-র কাছেই নয়, নরেন্দ্র মোদীর মন্ত্রিসভার সদস্য নিশীথের কাছেও চ্যালেঞ্জের। তবে ভয় ছ’মাস আগের ফলেই। মাত্র ৫৭ ভোটে জিতেছিলেন নিশীথ।
৩। একই ভাবে শান্তিপুরে লড়াই রানাঘাটের সাংসদ জগন্নাথ সরকারেরও। গত লোকসভা নির্বাচন এবং ছ’মাস আগের বিধানসভা ভোটেও মতুয়া ভোট বিজেপি-র দিকেই বেশি করে ঝুঁকেছে। মতুয়া সম্প্রদায়ের সাংসদ শান্তনু ঠাকুরকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও করেছে বিজেপি। সেই মতুয়া ভোট বিজেপি-র ঝুলিতে থাকছে কি না তার উত্তরও দেবে শান্তিপুরের ফল।
৪। বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে স্বস্তিতে নেই বিজেপি। ফল ঘোষণার এক মাস হতে না হতেই প্রথমে কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক মুকুল রায় তৃণমূলে ফিরে যান। এর পরে আরও চার বিধায়ক চলে গিয়েছেন। এই অবস্থায় দিনহাটা ও শান্তিপুর ধরে রাখতে না পারলে গেরুয়া শিবিরে ভাঙনের ভয় বাড়বে।
৫। কয়েক মাসের মধ্যেই রাজ্যে পুরভোট হওয়ার কথা। এই উপনির্বাচন বলে দেবে পুরভোটের আগে গেরুয়া শিবির ঘুরে দাঁড়াতে পারবে কি না। গত লোকসভা নির্বাচনের ফলের নিরিখে বিজেপি যে জায়গায় ছিল, গত বিধানসভা নির্বাচনের পরে তা আর নেই। প্রধান বিরোধী দলের গুরুত্ব পেলেও সাংগঠনিক শক্তি কমেছে। এই পরিস্থিতিতে চার আসনের মধ্যে আগে জেতা দুই আসনের একটিতেও যদি জিততে পারে বিজেপি তবে কিছুটা হলেও বিপর্যয় সামাল দেওয়া যাবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy