হাওড়া স্টেশনের ভোল বদলে আগ্রহ দেখিয়ে ১৭টি বেসরকারি সংস্থা দরপত্র জমা দিল। রেলের শর্ত অনুযায়ী, স্টেশন সংস্কারের জন্য ন্যূনতম ৪০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করতে হবে। রেলের সঙ্গে এক বা একাধিক বেসরকারি সংস্থার যৌথ উদ্যোগে এই কাজ হবে। সূত্রের খবর, চলতি মাসেই দরপত্র খোলা হবে।
রেল ঠিক করেছে, বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে দেশের ২৩টি স্টেশন সংস্কার করা হবে। এই তালিকায় পশ্চিমবঙ্গের একমাত্র হাওড়া স্টেশন রয়েছে। কোনও স্টেশনের জন্য কত বিনিয়োগ দরকার, তা-ও জানিয়ে দিয়েছে রেল। হাওড়ার জন্য ৪০০ কোটি, চেন্নাই সেন্ট্রাল স্টেশনের জন্য ৩৫০ কোটি, মুম্বই সেন্ট্রাল স্টেশনের জন্য ২৫০ কোটি টাকা। যে সংস্থা বরাত পাবে, তাদের সঙ্গে ৪৫ বছরের চুক্তি করবে রেল। পূর্ব রেলের এক কর্তা জানান, হাওড়ার জন্য দরপত্র খোলার দিন ঠিক হয়েছিল ২৩ মে। তা পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।
রেলকর্তারা জানান, হাওড়ার যাত্রী সংখ্যা বেড়ে চলেছে। বাড়ছে ট্রেনও। অথচ, সেই অনুপাতে পরিকাঠামোর উন্নতি হয়নি। এই পরিস্থিতিতে রেলের এক কর্তার ব্যাখ্যা, ‘‘আর্থিক অবস্থা তলানিতে চলে যাওয়ায় মন্ত্রকের পক্ষে আমূল সংস্কারের কাজে হাত দেওয়া সম্ভব নয়। তাই বেসরকারি পুঁজির কথা কথা ভাবা হয়েছে।’’
তবে স্টেশন সাজাতে যৌথ উদ্যোগ নেওয়া হলেও রেলের কোনও সম্পত্তির হাতবদল হচ্ছে না। পণ্য পরিবহণ থেকে টিকিট বিক্রি, পার্সেল, প্ল্যাটফর্ম টিকিট বিক্রি, ট্রেন চলাচল, রেললাইনের রক্ষণাবেক্ষণ — সবই থাকছে রেলের হাতে। রেল কর্তারা জানাচ্ছেন, বিশ্রামাগার-সহ স্টেশন ভবনের নির্দিষ্ট জায়গা ভাড়া দিতে পারবে যৌথ উদ্যোগের বেসরকারি অংশীদার। স্টেশন-সংলগ্ন যত ফাঁকা জমি রয়েছে— তা বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহার করা যাবে। রেল কর্তাদের দাবি, ভবন ও আশপাশের জমিতে বাণিজ্যিক কমপ্লেক্স তৈরি করতে যে খরচ হবে, ভাড়া দিয়ে সেই খরচ তুলে নিতে পারবে অংশীদার বেসরকারি সংস্থা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy