সকালে সড়ক আর বিকালে রেল অবরোধের জেরে জেরবার হল ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চল। আর অবরোধে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে।
সোমবার সকালে খড়দহ চটকলে সাসপেনশন অব ওয়ার্কের জেরে বন্ধ হয়েছিল বিটি রোড। বিকেলে কাঁচরাপাড়ায় রেলের কোচ ফ্যাক্টরির দাবি ও কাঁচরাপাড়া রেল ওয়ার্কশপে কিছু বেনিয়মের অভিযোগে রেল লাইনে বসে পড়েন সিপিএম নেতা-কর্মীরা। সেখানে তাঁদের লক্ষ করে বোমা, গুলি ও রেল লাইনের পাথর ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় চার জন জখম হয়েছেন বলে সিপিএম সূত্রে দাবি করা হয়েছে।
দলের নেতাদের অভিযোগ, এ দিন কাঁচরাপাড়া রেল কারখানার ম্যানেজারকে একটি স্মারকলিপি দিতে যান তাঁরা। কিন্তু কারখানা কর্তৃপক্ষ গেট থেকেই তাঁদের ফিরিয়ে দেন। প্রতিবাদে রেল অবরোধের সিদ্ধান্ত হয়। ওয়ার্কশপ গেটের কাছে রেল লাইনে বসে পড়েন প্রাক্তন পরিবহণ মন্ত্রী তথা সিটু নেতা রঞ্জিত কুণ্ডু, দলের প্রবীন নেতা হরিমোহন নাথ, শম্ভু চট্টোপাধ্যায়েরা। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন জনা চল্লিশ বাম কর্মী-সমর্থক। এর জেরে বিকেল ৪টের পর মেন লাইনে শিয়ালদহ-রানাঘাট শাখায় ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। মিনিট ৪০ পরে অবরোধ ওঠে।
অভিযোগ, আধ ঘণ্টা অবরোধ চলার পরেই তৃণমূলের ঠ্যাঙাড়ে বাহিনী হামলা চালায়। সিপিএমের কাঁচরাপাড়া জোনাল কমিটির সম্পাদক শম্ভুবাবুর অভিযোগ, “ওরা গুলি-বোমা ছুড়েছে। পাথরও মেরেছে। অনেকেই জখম হয়েছেন। চার জনকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়েছে।” তৃণমূলের পক্ষ থেকে অবশ্য এই অভিযোগ সাজানো বলে দাবি করা হয়। বীজপুরের তৃণমূল বিধায়ক শুভ্রাংশু রায় বলেন, “এই ঘটনার সঙ্গে আমাদের দলের কোনও সম্পর্ক নেই।”
কিন্তু কেন স্মারকলিপি দিতে গিয়েছিলেন বামেরা?
রঞ্জিতবাবু বলেন, “রেলমন্ত্রী থাকাকালীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কাঁচরাপাড়ায় কোচ ফ্যাক্টরির কথা ঘোষণা করেছিলেন। ওঁর সব কথার মতো এটাও ভাঁওতা। সেই কোচ ফ্যাক্টরি-সহ অন্য আরও কিছু দাবি-দাওয়া নিয়ে আমরা শান্তিপূর্ণ ভাবে স্মারকলিপি দিতে গিয়েছিলাম। কিন্তু পুলিশের সামনেই আমাদের উপর হামলা হল।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy