বিয়ের কয়েক দিন পর থেকে তরুণীটি বাপের বাড়িতেই থাকতে বাধ্য হন। টেলিফোনে স্বামীর সঙ্গে কথাবার্তার পরে শনিবার শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে তাঁর বরাতে জুটল বেধড়ক মারধর। স্বামী ও শাশুড়ি ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁকে নির্মম ভাবে কুপিয়েছেন বলে অভিযোগ। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই তরুণী এখন হাসপাতালে। তাঁর স্বামী-সহ শ্বশুরবাড়ির সকলেই পলাতক।
পুলিশ জানায়, আগরপাড়ার ইলিয়াস রোডের বাসিন্দা সোমনাথ দাসের সঙ্গে ২০১২ সালে রেজিস্ট্রি করে বিয়ে হয় ওই এলাকারই হলধর বসু রোডের গোপা মজুমদারের। সোমনাথের মোবাইল রিচার্জের দোকান আছে। বিয়ের পরে কয়েক দিন শ্বশুরবাড়িতে থাকলেও দুই বাড়ির অমতে বিয়ে হওয়ায় এবং সামাজিক অনুষ্ঠান না-হওয়ায় উভয় পরিবারের তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, দু’জনকেই আলাদা রাখা হবে। গোপা বাপের বাড়িতে ফিরে যান। মাসখানেক আগে সোমনাথ বিচ্ছেদের জন্য উকিলের চিঠি দেওয়ায় গণ্ডগোল শুরু হয়। বধূ-নির্যাতনের অভিযোগ দায়ের করেন গোপা। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ সোমনাথকে ডেকে পাঠায় থানায়।
গোপার পরিবার সূত্রের খবর, এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই তরুণ-তরুণীর মাঝেমধ্যেই বচসা হতো। শনিবারেও ফোনে দীর্ঘ ক্ষণ কথা হয় তাঁদের। তার পরে শ্বশুরবাড়িতে যান গোপা। সেখানে বচসার পরে সোমনাথ এবং তাঁর মা গৌরীদেবী গোপাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপান বলে অভিযোগ। রক্তাক্ত গোপা রাস্তায় বেরিয়ে চিৎকার করতে থাকেন। তাঁর বাপের বাড়ির এলাকার এক অটোচালক দেখতে পেয়ে বাড়িতে খবর দেন। তরুণীর কাকা-কাকিমা এবং অন্য এক আত্মীয়া ঘটনাস্থলে যান। অভিযোগ, তাঁদেরও পেটানো হয়। গোপাকে ভর্তি করানো হয় সাগর দত্ত স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। তাঁর গলা ও দু’হাতে ২০টি সেলাই পড়েছে।
শনিবারের ঘটনার পর থেকেই সোমনাথ, তাঁর মা এবং বাড়ির অন্যেরা পলাতক। ব্যারাকপুরের গোয়েন্দা-প্রধান সি সুধাকর বলেন, “অভিযুক্তদের খোঁজ চলছে।” নিগৃহীতার কাকা মানিক মজুমদার বলেন, “গোপা সংসার করতে চেয়েছিল। আমরা মেনে নিয়েছি। কিন্তু সোমনাথ যে এ ভাবে ধোঁকা দেবে ভাবতে পারিনি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy