ঝগড়াটা শুরু হয়েছিল মাত্র ৫০ টাকা নিয়ে। কিন্তু তা গড়াল অপহরণের চেষ্টায়। যার পরিণতিতে তিন যুবককে ধরে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দিল জনতা। যে গাড়িতে তুলে ব্যবসায়ীকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা হচ্ছিল, সেটিতে ভাঙচুর করা হয়। সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বাদুড়িয়ার আড়বালিয়ায়। পুলিশ জানিয়েছে, ব্যবসায়ী সঞ্জিত ঢালির অভিযোগের ভিত্তিতে হাবরার বাসিন্দা স্বপন দে, অমৃত ঘোষ এবং নবকুমার ভদ্রকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গাড়িটি আটক করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ একটি গাড়িতে করে হাবরার বাসিন্দা স্বপন দে, অমৃত ঘোষ এবং নবকুমার ভদ্র বসিরহাট থানার মাটিয়া বাজারে আসে। ওই বাজারের একটি পার্কিং-এ গাড়িটি তিনশো টাকা ভাড়ার চুক্তিতে রাখা হয়।
সন্ধ্যার পরে তিন যুবক গাড়ি নিয়ে যাওয়ার সময়ে তাদের ভাড়ার কথা বলা হলে আড়াইশো টাকা টাকা দিতে যায় ওই যুবকেরা। পার্কিং মালিক সঞ্জিতের সঙ্গে বচসা বাধে। অভিযোগ, সে সময়ে তিন যুবক সঞ্জিতকে জোর করে গাড়িতে তোলার চেষ্টা করে। সঞ্জিতবাবু মোবাইলে সে কথা আড়বালিয়া বাজারে পরিচিতদের জানান। নিমেষে রটে যায়, অপহরণ করা হচ্ছে এক ব্যবসায়ীকে। আড়বালিয়া বাজারে রাস্তা আটকায় জনতা। তত ক্ষণে বিপদ আঁচ করে ওই যুবকেরা পার্কিংয়ের ভাড়া বাবদ আড়াইশো টাকা হাতে দিয়ে রাস্তায় নামিয়ে দেয় সঞ্জিতকে।
পুলিশ জানায়, সে কথা না জেনেই আড়বালিয়া বাজারের ব্যবসায়ীরা কালো রঙের গাড়িটিকে আটকে ভাঙচুর করে। গাড়ি থেকে বের করে তিন যুবককে পেটানো হয়। সে কথা জানতে পেরে বাদুড়িয়া থানার পুলিশ গিয়ে তিন যুবককে উদ্ধার করে বসিরহাট থানার পুলিশের হাতে তুলে দেয়। সঞ্জিতের অভিযোগ, “ওরা ভাড়া বাবদ পুরো টাকা দিতে চায়নি। প্রতিবাদ করলে মারধর করে জোর করে গাড়িতে তুলে নিয়ে পালানোর চেষ্টা করে।”
অন্য দিকে যুবকদের দাবি, আড়াইশো টাকা দেওয়া সত্ত্বেও মাত্র ৫০ টাকার জন্য গালিগালাজ করা হয়েছে। গাড়ি নিয়ে যেতে দেওয়া হবে না বলে হুমকিও দেওয়া হয়। সে সময়ে পার্কিং মালিককে ভয় দেখানোর জন্য গাড়িতে তোলা হলেও কিছুটা দূরে গিয়ে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তারপরেও মিথ্যা অপহরণের অভিযোগে মারধর করে গাড়ি ভাঙচুর করা হল। ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy