চিকিৎসা চলছে হনুমানের। নিজস্ব চিত্র
দুর্ঘটনায় জখম হনুমানকে বাঁচানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হলেন বাসিন্দারা। অশোকনগরের মানিকনগর কাঞ্চনপল্লি এলাকার ঘটনা। সোমবার সকালে স্থানীয় মানুষ রেললাইনের পাশে রক্তাক্ত অবস্থায় একটি হনুমানকে পড়ে থাকতে দেখেন। যন্ত্রণায় ছটফট করছিল সে। দলের বাকি হনুমানেরা কান্নাকাটি করতে থাকে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় মানুষ। হাবড়ার বিডিও অফিসে পশু চিকিৎসালয়ে আনা হয় হনুমানটিকে। প্রাথমিক চিকিৎসার পরে বলা হয় থানায় যোগাযোগ করতে। থানায় এসে বনদফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও বারাসত থেকে হাবড়া আসতে প্রায় চার ঘণ্টা সময় পেরিয়ে যায় বনদফতরের। তাদের গাড়ি যখন হাবড়া থানায় এসে পৌঁছয়, ততক্ষণে আহত হনুমানের মৃত্যু হয়েছে।
হনুমানটিকে উদ্ধারকারী গুরুদাস বারুই, রিপন হালদার, উত্তম মণ্ডলদের অনুমান, ট্রেনের ধাক্কায় হনুমানটি জখম হয়েছিল। রক্তাক্ত হনুমানটিকে উদ্ধার করতে গেলে তার সঙ্গীরা অবশ্য প্রথমে দাঁত খিঁচিয়ে তেড়ে আসে বলে জানান উত্তমরা। আকারে-ইঙ্গিতে নানা ভাবে তাদের শান্ত করার চেষ্টা চালিয়ে যান স্থানীয় কয়েকজন। একটা সময়ে বাকি হনুমানরা পিছনে সরে যায়। এত কাণ্ডের পরেও জখম হনুমানকে বাঁচাতে না পারায় আফসোস যাচ্ছে না উত্তমদের।এলাকার বাসিন্দারা মনে করছেন, সময়মতো বনদফতর এলে হয় তো হনুমানটিকে বাঁচানো সম্ভব হত। হনুমানটিকে নিতে আসা বনদফতরের কর্মী রামলাল সিংহ জানান, তাঁদের গাড়ি খারাপ হয়ে যাওয়ায় আসতে দেরি হয়েছে। বারাসতে হনুমানের ময়নাতদন্ত হবে বলে জানিয়েছে বন দফতর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy