Advertisement
২৪ নভেম্বর ২০২৪

বিএডে ভর্তির নামে প্রতারণা, আটক যুবক

বিএডে ভর্তি নেওয়া হয় বলে বোর্ড লাগিয়ে খোলা হয়েছিল অফিস। ‘ভর্তি’ও চলছিল। কারও কারও কাছ থেকে ৪৫ হাজার, কেউ আবার কাকুতি-মিনতি করলে হাজার পাঁচেক ছাড় দিয়ে ৪০ হাজার টাকা নেওয়া হয়েছিল। বিনিময়ে রসিদও মিলত।

নিজস্ব সংবাদদাতা
ক্যানিং শেষ আপডেট: ২১ জুলাই ২০১৬ ০১:৫৬
Share: Save:

বিএডে ভর্তি নেওয়া হয় বলে বোর্ড লাগিয়ে খোলা হয়েছিল অফিস। ‘ভর্তি’ও চলছিল। কারও কারও কাছ থেকে ৪৫ হাজার, কেউ আবার কাকুতি-মিনতি করলে হাজার পাঁচেক ছাড় দিয়ে ৪০ হাজার টাকা নেওয়া হয়েছিল। বিনিময়ে রসিদও মিলত।

কিন্তু ওই পর্যন্তই। পরীক্ষার জন্য ওই ছাত্রছাত্রীদের অন্ধপ্রদেশের নাগার্জুন, যোগীভিমানা ও কেরলের আল আজহার ইউনিভার্সিটিতে পাঠানো হয়েছিল। সেখানে গিয়ে ওই সব ছাত্রছাত্রীরা জানতে পারেন, তাঁদের নামে কোনও রেজিস্ট্রেশন নেই। বোঝা যায়, প্রতারণার শিকার হয়েছেন সকলে।

ক্যানিঙে ফিরে এসে যতক্ষণে ভুয়ো বিএড অফিসে খোঁজখবর করতে গেলেন তাঁরা, তত দিনে অফিসই পাততাড়ি গুটিয়েছে। আপাতত এক যুবককে আটক করে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। সংস্থার মাথা প্লাবন শীলের খোঁজ চলছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, অন্তত সাড়ে ১২ লক্ষ টাকা হাতিয়ে পালিয়েছে সংস্থার লোকজন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, গত বছর জুন-জুলাই মাসে ক্যানিঙের সিনেমা হল রোডে ‘গাইড লাইন ফর বিএড স্টাডি’ নামে ওই সংস্থাটি অফিস খুলে বসে। গোসাবা, বাসন্তী, ক্যানিঙের প্রায় ৪০ জন ছাত্রছাত্রী ভর্তি হন।

সংস্থার হয়ে টাকা তুলেছিলেন বাসন্তীর চোরা ডাকাতিয়ার এক যুবক। প্রতারিত হয়ে ফিরে আসার পরে ওই সব ছাত্রছাত্রীরা তাঁকে ধরে। ওই যুবকই জানান, প্লাবন সংস্থার কর্ণধার। টাকা নিয়ে পালিয়েছে সে। ছাত্রছাত্রীদের চাপে প্লাবনের নামে বাসন্তী থানায় অভিযোগ করেন ওই যুবক। ছেলেমেয়েদের টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য তিনি চেষ্টা করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। কিন্তু তারপর থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন।

বুধবার সিনেমা হল রোডেই তাঁকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন প্রতারিত কিছু ছাত্রছাত্রী। নিয়ে যান থানায়।

সঞ্জয় মণ্ডল, মিঠুন মণ্ডলরা বলেন, ‘‘বিএড করব বলে চেষ্টা করছিলাম। ক্যানিঙের ওই অফিসের কথা জানতে পেরে যোগাযোগ করে ভর্তি হই। পরে পরীক্ষা দিতে গিয়ে জানতে পারি সবটাই ভুয়ো।’’ প্রতারিত যুবকদের আক্ষেপ, একে তো চাকরি না পাওয়ার যন্ত্রণা, তার উপরে এতগুলো টাকা খোয়া গেল!

আটক যুবকের বাবা বলেন, ‘‘আমার ছেলে ওই সংস্থায় কাজ করত। সেই মতো ছাত্র ভর্তির বিনিময়ে টাকা নিয়েছে। কিন্তু ওই সংস্থা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সকলে এখন আমার ছেলেকে নিয়ে টানাটানি করছে। এ ভাবে ওকে ছেলেকে ফাঁসানো হচ্ছে।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Fraud
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy