বিক্ষোভ: ক্ষুব্ধ মহিলারা। গাইঘাটায়। ছবি: নির্মাল্য প্রামাণিক
গ্রামের মধ্যে মদের দোকান থাকায় পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। দ্রুত দোকান বন্ধের দাবিতে থানায় স্মারকলিপি দিলেন মহিলারা।
শনিবার দুপুরে গাইঘাটা থানার বাইরে বিক্ষোভও দেখান তাঁরা। পুলিশ জানায়, মদের দোকানটি সরকারি অনুমতি নিয়েই চলছে। পুলিশের তরফে গ্রামবাসীর দাবিপত্র সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছর গাইঘাটার দোগাছিয়া গ্রামে একটি মদের দোকান খোলেন এক ব্যক্তি। এলাকার মানুষ, বিশেষ করে মহিলারা প্রথম থেকেই দোকান বন্ধ করতে এককাট্টা ছিলেন। মহিলারা আন্দোলন শুরু করেন।
প্রথমে মদের দোকানটি ওই ব্যক্তি নিজের বাড়ি থেকে চালাতেন। মহিলাদের আপত্তির জেরে তিনি তা বাড়ি থেকে সরিয়ে গ্রামের মধ্যে করেন। মহিলারা এরপরে ক্ষিপ্ত হয়ে ২০ ফেব্রুয়ারি মদের দোকানে চড়াও হয়ে ভাঙচুর চালান বলে অভিযোগ। মহিলাদের দাবি, ওই দিন কোনও পুরুষ তাঁদের সঙ্গে ছিলেন না। তবু বাড়ির কয়েক জন পুরুষ সদস্যের নামে মিথ্যে মামলা দেওয়া হয়েছে। শনিবার মহিলারা পুলিশের কাছে ওই মামলা প্রত্যাহারের দাবি করেছেন। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত চলছে। মদের দোকানটি টিন দিয়ে ঘেরা। সেখানে বসে মদ খাওয়ার ব্যবস্থাও রয়েছে। মহিলারা এ দিন তিনটি গাড়ি করে থানায় যান। হাতে ছিল ব্যানার, পোস্টার। রত্না সরকার নামে এক মহিলার কথায়, ‘‘আমাদের গ্রামে সুস্থ পরিবেশ ছিল। মদের দোকান হওয়ায় পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। রাতে মদ খেয়ে যুবকেরা বাড়ির মধ্যে বোতল ছুড়ে মারছে।’’
কয়েকজন মহিলা জানান, মদের দোকান চালু হওয়ায় তাঁদের সংসারে প্রভাব পড়েছে। স্বামীরা মদ খেয়ে বাড়ি ফিরে অশান্তি করছেন। ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া লাটে উঠেছে। ওই মহিলাদের কথায়, ‘‘সব থেকে বড় কথা, বড়দের দেখাদেখি অল্প বয়সেও মদ খেতে শিখবে ছেলেরা। গ্রামে দোকান থাকলে সহজে কিনতেও পারবে। ছোট ছেলেদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে এখানে মদের দোকান রাখতে দিতে পারি না।’’
এক ছাত্রীর কথায়, ‘‘মদের দোকানে বাইরে থেকে নেশায় আসক্ত লোকজনের এখানে আনাগোনা বেড়েছে। আমরা রাস্তায় বেরিয়ে ভয় পাচ্ছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy