প্রতীকী ছবি
লোহার রড দিয়ে প্রথমে মাথায় আঘাত, তার পরে শ্বাসরোধ করে স্বামীকে খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠল স্ত্রী ও তাঁর দুই সঙ্গীর বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার রাতে ওই ঘটনা ঘটে নিমতায়। পুলিশের দাবি, ঘটনার পর থেকেই ওই তরুণী ও তাঁর এক সঙ্গী পলাতক। আর এক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রের খবর, নিমতার প্রতাপগড়ের বাসিন্দা লক্ষ্মণ বিশ্বাসের সঙ্গে বছর দশেক আগে মছলন্দপুরের এক তরুণীর বিয়ে হয়। ওই দম্পতির আট বছরের একটি মেয়ে রয়েছে। কর্মসূত্রে লক্ষ্মণ বিদেশে থাকেন। নিমতার বাড়িতে তাঁর কন্যা, স্ত্রী ও বৃদ্ধা মা থাকেন। বছরে দু’বার বাড়িতে আসেন লক্ষ্মণ। সেই মতো কয়েক দিন আগে বাড়িতে এসেছেন ওই যুবক। পুলিশের কাছে অভিযোগে লক্ষ্মণ জানিয়েছেন, বছরখানেক ধরে স্ত্রী বাইরের বিভিন্ন লোকের সঙ্গে মেলামেশা করছিলেন। সে কথা জানতে পারেন তিনি। তা নিয়ে মঙ্গলবার স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়াও বাধে লক্ষ্মণের।
অভিযোগ, ওই দিন ঝগড়ার পরে ঘরে শুয়ে ছিলেন ওই যুবক। সেই সময়ে নিমতারই বাসিন্দা এক যুবক এবং এক খুড়তুতো ভাইকে বাড়িতে ডেকে আনেন তাঁর স্ত্রী। লক্ষ্মণ বলেন, ‘‘কিছু বুঝে ওঠার আগেই ওরা আমার মাথায় লোহার রড দিয়ে মারে। এর পরে স্ত্রী আমার মুখ চেপে ধরে। দুই যুবক মিলে আমার গলায় তার পেঁচিয়ে শ্বাসরোধের চেষ্টা করে।’’ চেঁচামেচি শুনে লক্ষ্মণের মা ঘরে ঢুকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে তাঁকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা চলে এলে তিন জনই চম্পট দেন। খবর পেয়ে আসে নিমতা থানার পুলিশ। ওই রাতেই নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে লক্ষ্মণের স্ত্রীর খুড়তুতো ভাই মনোজ দাসকে গ্রেফতার করে পুলিশ। লক্ষ্মণ বলেন, ‘‘আমার স্ত্রীর ঘর থেকে একটি পুলিশের পোশাক উদ্ধার হয়েছে। কোথা থেকে ও এত সাহস পেল, বুঝতে পারছি না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy