নিজস্ব চিত্র
বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি-কে ভোট দেওয়ায় এক মহিলাকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। যদিও তৃণমূল দাবি করেছে, পারিবারিক গন্ডগোলকে রাজনৈতিক রং লাগানোর চেষ্টা করছে বিজেপি। এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগই নেই।
শুক্রবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাতগাছিয়া বিধানসভা কেন্দ্রের নোদাখালি থানার কামরা এলাকায়। মৃতের নাম চন্দনা হালদার। পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও এক যুবক। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রামচন্দ্রপুরের বাসিন্দা স্বরূপ হালদার পেশায় মাছ বিক্রেতা। শুক্রবার সকালে রানিয়াহাটে মাছ বিক্রি করতে গিয়েছিলেন তিনি। অভিযাগ, দুপুরে বাড়ি ফেরার পথে শীতলা মন্দিরের কাছে বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতী স্বরূপের পথ আটকায়। এর পর লাঠি ও বাঁশ দিয়ে তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয়। চিৎকার শুনে তাঁর বৌদি চন্দনা বাঁচাতে আসেন। দুষ্কৃতীরা তাঁকেও বেধড়ক মারধর করে। স্থানীয়রা গুরুতর জখম অবস্থায় দু’জনকে মুচিশা হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে চন্দনাকে কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়। যদিও কলকাতার হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়।
নিহতের পরিবারের অভিযোগ, বিজেপি-কে ভোট দেওয়ার কারণেই তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই কাজ করেছে। মৃতের পরিবারের লোকজন নোদাখালি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
বিজেপির ডায়মন্ড হারবার সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি সুফল ঘাটু বলেন, ‘‘মানবাধিকার কমিশন এলাকায় ঘুরে গেলেও থামেনি সন্ত্রাস। শুক্রবার আমাদের কর্মীকে পিটিয়ে মারল তৃণমূল। বিজেপির পক্ষ থেকে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। প্রতিবাদে জেলা জুড়ে পথে নামব আমরা।’’
যদিও নিজেদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। বজবজ ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি বুচান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘যে কোনও মৃত্যুর ঘটনাই মর্মান্তিক। তবে এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের যোগ নেই। পারিবারিক বিবাদের ঘটনায় রাজনৈতিক রং লাগিয়ে প্রচারে আসার চেষ্টা করছে বিজেপি। কিন্তু, মিথ্যা অভিযোগ করে কোনও লাভ নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy