গ্রামবাসীদের প্রতিবাদ। ছবি: নির্মল বসু।
ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় মদের দোকান বন্ধ করার দাবিতে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন গ্রামবাসীদের একাংশ। মদের দোকানটিও তালা লাগিয়ে বন্ধ করে দেন তাঁরা। বুধবার সকালে ঘটনাটি ঘটে হাড়োয়ার শালিপুর পঞ্চায়েতের মোহন্তবটতলার কামারবাড়ি মোড়ে। বেলা ১০টা নাগাদ পুলিশ গিয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলে অবরোধ উঠে যায়। এর ফলে হাড়োয়া-লাউহাটি রাস্তায় যান চলাচল ব্যাহত হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি হাড়োয়ার শালিপুর পঞ্চায়েতের মোহন্তবটতলার কামারবাড়ি মোড় এলাকায় একই ছাদের নীচে বিদেশি মদের দোকান এবং পানশালা খোলা হয়। মঙ্গলবার থেকে ওই মদের দোকান এবং পানশালা খোলা হয়। তারপর থেকেই ক্ষোভ বাড়তে থাকে গ্রামবাসীদের। বুধবার সকালে পঞ্চায়েতের প্রধান বিকাশ মণ্ডল এবং হাড়োয়া পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ বিপ্লব বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে ওই দোকানে তালা দিয়ে বিক্ষোভ শুরু হয়। কয়েকশো পুরুষ ও মহিলার উপস্থিতিতে রাস্তায় ইট-কাঠ ফেলে শুরু হয় অবরোধ। হাড়োয়া পঞ্চায়েত সমিতির জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশের কর্মাধ্যক্ষ বিপ্লব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘গ্রামের মধ্যে মদের দোকান এবং পানশালা খোলা হলে এলাকার পরিবেশ নষ্ট হবে। তাই ওই মদের দোকান এবং পানশালা বন্ধের দাবি জানানো হয়েছে।’’ তাঁদের দাবি, শুধু ওই মদের দোকান বন্ধ নয়, এলাকার কোনও চোলাই বিক্রির ঠেক বসলেও প্রতিবাদ করা হবে।
বিক্ষোভকারীদের মধ্যে শান্তনা বন্দ্যোপাধ্যায়, কমলা মণ্ডল, সুমিত্রা পাত্র, সাকিনা খাতুনদের দাবি, ‘‘এলাকায় মদের দোকান এবং বার খোলা হলে দুষ্কৃতী আনাগোনা বাড়বে। তাই প্রশাসনের কাছে ওই মদের দোকানটি বন্ধের জন্য লিখিত আবেদন জানানো হয়েছে।’’ পুলিশ জানিয়েছে, ওই মদের দোকানের মালিক জানিয়েছেন, সরকারি লাইসেন্স পেয়েই তিনি ওই এলাকায় মদের দোকান খুলেছেন। জেলা আবগারি দফতরের এক কর্তা জানান, গ্রামবাসীদের অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
দিন কয়েক আগে প্রায় চার ঘণ্টা ধরে হুগলির গোঘাটে প্রায় ৮০টি চোলাইয়ের ভাটি ভেঙে দিয়েছিলেন আদিবাসী এবং তফসিলি সম্প্রদায়ের মহিলারা। নষ্ট করা হয়েছিল অন্তত ৩০ হাজার লিটার মদ। বিহারে মদ কেনাবেচা বন্ধের জন্য বিধানসভা নির্বাচনের আগে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন নীতীশ কুমার। এ বার এ রাজ্যের মদের দোকানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখানো শুরু করেছেন। তাঁদের বক্তব্য, ঢালাও মদের কারবার বন্ধ না করলে এলাকার আইন শৃঙ্খলার যেমন উন্নতি হবে তেমন পারিবারিক হিংসাও বন্ধ হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy