বধূর অস্বাভাবিক মৃত্যুতে উত্তেজনা ছড়াল বসিরহাটের সাংবেড়িয়া গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতার নাম রুনা বিবি (৩২)। শুক্রবার তাঁর ঝুলন্ত দেহ মেলে শ্বশুরবাড়ি থেকে। রুনার দাদা গিয়াসউদ্দিন মণ্ডলের অভিযোগের ভিত্তিতে শাশুড়ি ফতেমা বিবি এবং বড় জা সরিফা বিবিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রুনার স্বামী সাহেব আলি, দেওর মোসলেম আলি, ভাসুর বাবুর আলি, আরও এক জা আসুরা বিবির খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।
বধূর মৃত্যুর খবর চাউর হতেই ক্ষিপ্ত জনতা ভাঙচুর চালায় শ্বশুরবাড়িতে। মারধর করা হয় রুনার শাশুড়ি ও জাকে। পুলিশ বাধা দিতে গেলে পুলিশকে ঘিরেও বিক্ষোভ দেখায় জনতা। দু’জনকে গ্রেফতারের পরে শান্ত হয় পরিস্থিতি। পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত শুরু হয়েছে। ময়না-তদন্তের রিপোর্ট না এলে খুন না আত্মহত্যা, তা বোঝা যাবে না।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর দশেক আগে বসিরহাটের গোবিলা গ্রামের রুনার সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল সাহেবের। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই বাপের বাড়ির থেকে টাকা আনার জন্য চাপ দেওয়া হত রুনাকে। শারীরিক ও মানসিক অত্যাচারও চলত।
রুনার প্রতিবেশী ও আত্মীয়দের আরও অভিযোগ, সাহেবের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল এক নিকটাত্মীয়ার। সে কথা জানাজানি হওয়ায় সংসারে অশান্তি বাড়ে। একাধিকবার এই নিয়ে গ্রামে সালিশিও বসেছে। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি।
পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে গোবিলা গ্রামের কয়েকজন সাংবেড়িয়ায় যান। সেখানে ফের সালিশি সভা বসে। সভায় সাহেব প্রতিশ্রুতি দেয়, স্ত্রীর উপরে আর কোনও অত্যাচার হবে না। কিন্তু রুনা শ্বশুরবাড়িতে থাকবেন না বলে ঠিক করেন। মেয়েকে বোঝানোর জন্য মুমতাজ সাংবেড়িয়ায় থেকে গিয়েছিলেন।
শুক্রবার সকাল ৮টা নাগাদ মুমতাজ বাড়ির দিকে রওনা দেন। এরপরেই রুনার শ্বশুরবাড়িতে ফের ঝামেলা শুরু হয়। কিছুক্ষণ বাদে রুনার বাপের বাড়িতে খবর যায়, মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। এরপরেই ক্ষিপ্ত জনতা ওই বধূর শ্বশুরবাড়িতে ভাঙচুর চালায়। বোনকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে বলে রুনার দাদা থানায় অভিযোগ করেছেন।
খুনের অভিযোগ ঠিক নয় বলে দাবি করে ফতেমা এবং সরিফা দাবি করেছেন, স্বামী ও এক জায়ের সঙ্গে পারিবারিক গণ্ডগোল চলছিল, এ কথা ঠিক। তার জেরেই গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন রুনা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy