বাস রাখার জন্য নির্দিষ্ট জায়গা তুলনায় ফাঁকা। কিন্তু গঙ্গাসাগর ঢোকার মুখে দফায় দফায় যানজট।
নিশ্চিন্তপুর চৌরাস্তার কাছে ভিন রাজ্যের এক গাড়ি চালক গাড়ি রাস্তার উপরই পার্কিং করে চলে গিয়েছিলেন। সেই থেকেই শুরু হয় যানজট। সেটি সামাল দিতে প্রায় ৮ ঘণ্টা পেরিয়ে যায়। ফলে অনেকেই শনিবার ভোরবেলা পুণ্যস্নানের মাহেন্দ্রক্ষণে সাগরে পৌঁছতে পারেননি। আজ, রবিবার ভোর পর্যন্ত মাহেন্দ্রক্ষণ থাকবে। কিন্তু যানজটের ফাঁস ঠেলে তার মধ্যে সাগরে পুণ্য-ডুব দেওয়া যাবে কিনা, তা নেই দুশ্চিন্তায় রয়েছেন অনেকে। তবে শনিবার বিকেলের পর থেকে যানজট কিছুটা কমেছে।
বিহারের মধুবনী থেকে এসেছিলেন গজেন্দ্র চৌহান এবং তাঁর সঙ্গীরা। তিনি বলেন, ‘‘কলকাতা থেকে কাকদ্বীপের জেটি পর্যন্ত পৌঁছতেই ১০ ঘণ্টার উপর সময় লেগে গেল। ভেবেছিলাম এ দিনই স্নান করব। হল না।’’ দূর থেকে আসা তীর্থযাত্রীরা অনেকেই বাসে করে আসেন। তাই তাঁদের যানজটে পড়ার সম্ভবনা সব থেকে বেশি।
শনিবার ডায়মন্ড হারবার এবং কুলপি— দু’টি বাফার জোনেই তেমন গাড়ি দেখা যায়নি। এ বার প্রায় ৭২ একর জায়গা জুড়ে তৈরি হয়েছে অস্থায়ী বাসস্ট্যান্ড। তা-ও কেন যানজট? ভিড়ের মধ্যে ঝুঁকি এড়াতে ১ নম্বর জেটি থেকে যখন বার্জ চালানো গিয়েছে, তখনই বাসস্ট্যান্ড থেকে লোক ছাড়া হচ্ছে। ফলে বাসস্ট্যান্ডে নেমে লোকজন সেখানেই দাঁড়িয়ে থেকে গাড়ির জায়গা দখল করে নিচ্ছে।
কাকদ্বীপের অস্থায়ী বাসস্ট্যান্ডে বাস ভরে গেলে বাবুঘাট থেকে তিনটি বাফার জোন অর্থাৎ, অস্থায়ী ভাবে গাড়ি দাঁড়ানোর জায়গা থেকে লট এইট ঘাটের দিকে গাড়ি নিয়ন্ত্রণ করা হয়। কিন্তু এ বার লোক বেশি থাকা সত্ত্বেও বাফার জোনগুলিকে সে ভাবে কাজে লাগানো হয়নি বলেই জানা গিয়েছে।
কাকদ্বীপে লট-৮ ঘাট এবং সংলগ্ন এলাকায় নজরদারি করছেন সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী মন্টুরাম পাখিরা। তিনি বলেন, ‘‘বাফার জোনে এখন আর ভিড় থাকবে না। আসলে অনেক দফতরের কর্মীরা এসে কাজ করছেন। সকলের অভিজ্ঞতা সমান নয়। যানজটে একটু সমস্যা ছিল। সেটা মিটিয়ে গিয়েছে।’’ যদিও হারউড পয়েন্ট থানার নতুন রাস্তা থেকে লট-৮ বাসস্ট্যান্ডে যেতেও এ দিন প্রায় দু’ঘণ্টা করে দাঁড়াতে হয়েছে সব বাসকে।
এ দিন গঙ্গাসাগর ঘুরে দেখা গিয়েছে, নতুন রাস্তা থেকে বাসস্ট্যান্ডে যাওয়ার পথে রাস্তার দু’ধারে অসংখ্য ছোট ও বড় গাড়ি বেআইনি ভাবে পার্কিং করা রয়েছে। অস্থায়ী বাসস্ট্যান্ডে কিন্তু ট্যুরিস্ট বাস ঢোকার মুখের জায়গা দখল করে বসে খিচুড়ি খাচ্ছেন তীর্থযাত্রীরা। ফলে বাস কম থাকলেও বাসস্ট্যান্ডে প্রায় ঢুকতেই পারছে না বেশ কিছু বাস।
রবিবার পরিস্থিতি কতখানি নিয়ন্ত্রণে আসে, এখন সেটাই দেখার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy