Advertisement
০৫ অক্টোবর ২০২৪
Daluakhaki

দলুয়াখাকিতে ঢুকতে দিচ্ছে না পুলিশ! সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিকে ফোন অম্বিকেশদের

দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগরে তৃণমূল নেতা সইফুদ্দিন লস্কর খুন হওয়ার পর তাণ্ডব চলেছিল পাশের দলুয়াখাকি গ্রামে। তার পর থেকেই ওই গ্রামে বাইরের কাউকে ঢুকতে দিচ্ছে না পুলিশ। সু

—ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
জয়নগর শেষ আপডেট: ২০ নভেম্বর ২০২৩ ১৬:৩৫
Share: Save:

দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগরে তৃণমূল নেতা খুন হওয়ার পর থেকেই পাশের দলুয়াখাকি গ্রাম ঘিরে রেখেছে পুলিশ। সিপিএম, কংগ্রেস ও আইএসএফের পর এ বার ওই গ্রামে ঢুকতে গিয়ে বাধা পেলেন মানবাধিকার সংগঠন ‘আমরা আক্রান্ত’-এর সদস্যেরা। পুলিশি বাধার মুখে পড়ে সেখান থেকেই সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অশোক গঙ্গোপাধ্যায়কে ফোন করেন সংগঠনের অন্যতম সদস্য তথা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অম্বিকেশ মহাপাত্র। অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির সঙ্গে পুলিশ আধিকারিকদের কথা বলিয়ে দিতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু পুলিশ তাঁর সঙ্গে কথা বলতে চায়নি।

দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগরে তৃণমূল নেতা সইফুদ্দিন লস্কর খুন হওয়ার পর তাণ্ডব চলেছিল পাশের দলুয়াখাকি গ্রামে। তার পর থেকেই ওই গ্রামে বাইরের কাউকে ঢুকতে দিচ্ছে না পুলিশ। সুজন চক্রবর্তীর নেতৃত্বে প্রথমে সিপিএম নেতারা গিয়ে বাধা পান। আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি এবং পরে কংগ্রেস নেতারাও পুলিশের বাধার মুখে পড়েন। এর পর সোমবার অম্বিকেশরা সেখানে যান। কিন্তু তাঁদের দলুয়াখাকির আগে মনসাতলা এলাকায় আটকে দেয় পুলিশ। তা নিয়ে বচসাও হয় দু’পক্ষের মধ্যে। এর পরেই সেখানে দাঁড়িয়ে শীর্ষ আদালতের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি তথা রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের প্রাক্তন চেয়ারম্যান অশোক গঙ্গোপাধ্যায়কে ফোন করেন অম্বিবেশ। অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ফোনে অম্বিকেশকে জানান, তিনি পুলিশের সঙ্গে কথা বলতে চান। অম্বিকেশও ফোনটি জয়নগর থানার আইসি পার্থসারথি পালের হাতে দিতে যান। কিন্তু পুলিশ অফিসার অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির সঙ্গে কথা বলতে চাননি বলে অভিযোগ।

অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এর পর ফোনেই অম্বিকেশদের জানান, বিষয়টি লিখিত আকারে জেলা পুলিশ সুপারকে জানাতে। এ-ও জানান, বিষয়টি নিয়ে তিনি প্রয়োজনে পুলিশ সুপারের সঙ্গে কথা বলবেন। ফোনে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘‘এ ভাবে আটকাতে পারে না পুলিশ।’’

ঘটনাচক্রে, সোমবারই কলকাতা হাই কোর্ট জানিয়ে দিয়েছে, সিপিএম নেতারা দলুয়াখাকি গ্রামে ত্রাণসামগ্রী নিয়ে যেতে পারবেন। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার নির্দেশ, পাঁচ জন গ্রামে যেতে পারবেন। তাঁদের সঙ্গে পুলিশ থাকবে। পাশাপাশি, আদালত এ-ও জানিয়েছে, ত্রাণ দিতে গিয়ে কোনও রাজনৈতিক স্লোগান, সভা করা এবং প্ল্যাকার্ড দেখানো যাবে না।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE