পুরনো অটোর অবাধ বিচরণ। ছবি: অরুণ লোধ।
বজবজ পুর এলাকায় প্রচুর অটো চলে। অভিযোগ, এর মধ্যে বেশ কিছু টু-স্ট্রোক অটোও রয়েছে। ফলে পরিবেশ দূষণ হচ্ছে। অভিযোগ, বার বার জানানো সত্ত্বেও পুলিশ, দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ ও পরিবহণ দফতর কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
পরিবেশবিদ সুভাষ দত্ত জানান, ২০০৭-এর ফেব্রুয়ারিতে তিনি টু-স্ট্রোক অটো পরিবেশ দূষণ ছড়াচ্ছে বলে কলকাতা হাইকোর্টে এক মামলা করেন। ২০০৮-এর অগস্টে সেই মামলার রায় দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। সেই রায়ে, কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং নদিয়ার কিছু অংশে টু-স্ট্রোক অটো চালানোয় নিষেধাজ্ঞা জারি করে হাইকোর্ট। এর পরিবর্তে এলপিজি চালিত অটো শুরু হয়। কলকাতা ও শহরতলির অনেক জায়গায় টু-স্ট্রোক অটো উঠে গেলেও বজবজে এই অটো চলছে বলে অভিযোগ।
বজবজের রেল স্টেশন থেকে চড়িয়ালগামী রাস্তায় দাঁড়ালেই চোখে পড়বে সারি সারি টু-স্ট্রোক অটো। রেল স্টেশন চত্বর থেকে চড়িয়াল ও গভর্নমেন্ট কোয়ার্টার্স এলাকার অটো মেলে। নিত্যযাত্রীরা জানাচ্ছেন, বজবজের স্টেশন থেকে গভর্নমেন্ট কোয়ার্টার্স অটোর লাইনে ওই অটোই বেশি। যদিও অভিযোগ মানতে নারাজ স্থানীয় অটো ইউনিয়ন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ইউনিয়ন কর্তা জানান, এখানে এলপিজি অটোই চলে।
এক মহিলা যাত্রী অবশ্য জানান, প্রয়োজনের তুলনায় অটোর সংখ্যা কম। তাই বাধ্য হয়েই পুরনো অটোগুলিতে ঝুঁকি নিয়েই উঠতে হয়। ঝরঝরে অটোগুলির পিছনের পাইপ দিয়ে গলগল করে কালো ধোঁয়া বেরোয়। কিন্তু প্রয়োজনের তুলনায় অটো কম থাকায় কেউ কোনও প্রতিবাদ করেন না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক যাত্রীর কথায়, ‘‘অটোর পরিষেবা ঠিক তো রাখতেই হবে। কারণ, অনেক যাত্রীই অটো পরিষেবার উপরে নির্ভরশীল। কিন্তু টু-স্ট্রোক আটো বন্ধ হওয়া প্রয়োজন। ’’
সুভাষ দত্ত জানান, টু-স্ট্রোক অটো রাস্তায় নামলে পুলিশ ‘মোটর ভেহিকল্স অ্যাক্ট’ অনুযায়ী জরিমানা করতে পারে। পদক্ষেপ করতে পারে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদও। দূষণ নিয়ন্ত্রণের পর্ষদের এক কর্তা জানান, পরিবহণ দফতর ও দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ যৌথ ভাবে অভিযান চালাবে। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনে যৌথ অভিযান হবে। জেলা পুলিশের এক কর্তা জানান, এ ক্ষেত্রে পুলিশের কিছু করার নেই। শুধু যৌথ অভিযানে সাহায্য করতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy