শম্ভুনাথ নদিয়ার হরিণঘাটার বাসিন্দা। হাত চলত তবলায়, ঢোলে, নালে। অর্কেস্ট্রার দলে হাতে উঠত পার্কাসন। আর পেট চালাতে অটো বা গাড়ির স্টিয়ারিং। সেই হাতই যে আগ্নেয়াস্ত্রের ট্রিগার চালাচ্ছে, মাস তিনেক আগে তা টের পেয়েছিলেন প্রতিবেশীরা।
অনুপম দত্ত। ফাইল চিত্র।
পানিহাটির কাউন্সিলর অনুপম দত্ত খুনের ঘটনায় মঙ্গলবার ভোররাতে বারুইপুর থেকে আরও দু’জনকে গ্রেফতার করল খড়দহ থানার পুলিশ। ধৃতেরা হলেন সুজিত পণ্ডিত এবং প্রসেনজিৎ পণ্ডিত। ধৃত শম্ভুনাথ পণ্ডিতকে জেরা করে সুজিত এবং প্রসেনজিতের হদিশ পায় পুলিশ।
রবিবার সন্ধ্যায় কাউন্সিলর অনুপম দত্তকে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে মাথায় গুলি করে দুষ্কৃতীরা। তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে সাগর দত্ত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখান থেকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় এক অভিযুক্ত শম্ভুনাথ পণ্ডিতকে রবিবারই গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সিসিটিভি ফুটেজে কাউন্সিলরকে গুলি করার ঘটনা ধরা পড়ে। শম্ভুনাথ গুলি করে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে আগরপাড়ার তেঁতুলতলায় একটি হোগলা বনে লুকিয়ে পড়ে। স্থানীয়দের কয়েক জন হোগলা বনে শম্ভুনাথকে ঢুকতে দেখার পরই সেই বনে আগুন লাগিয়ে দেন। প্রাণ বাঁচাতে হোগলা বন থেকে বেরিয়ে আসতেই আগ্নেয়াস্ত্র-সহ শম্ভুনাথকে ধরে ফেলেন স্থানীয়রা। তার পর তাঁকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
শম্ভুনাথ নদিয়ার হরিণঘাটার বাসিন্দা। হাত চলত তবলায়, ঢোলে, নালে। অর্কেস্ট্রার দলে হাতে উঠত পার্কাসন। আর পেট চালাতে অটো বা গাড়ির স্টিয়ারিং। সেই হাতই যে আগ্নেয়াস্ত্রের ট্রিগার চালাচ্ছে, মাস তিনেক আগে তা টের পেয়েছিলেন প্রতিবেশীরা। এ বার পানিহাটির কাউন্সিলরকে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জে গুলি করে খুনের খবর শুনে গোটা এলাকা স্তম্ভিত।
পানিহাটি এবং ঝালদায় কাউন্সিলর খুনে কলকাতা হাই কোর্টে স্বতঃপ্রণোদিত মামলার আর্জি জানিয়েছেন এক আইনজীবী। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে তিনি এই আর্জি জানান। তখন বিচারপতি বলেন, “যা নিয়ম রয়েছে তা মেনে মামলা দায়ের করুন। আদালত বিবেচনা করবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy