এই গাছ কাটা নিয়েই বিতর্ক। ছবি: সামসুল হুদা ।
প্রশাসনিক উদ্যোগে ভাঙড়ে ঘটা করে বৃক্ষরোপণ উৎসব পালন হচ্ছে। এক লক্ষ গাছ লাগানোর লক্ষ্যমাত্রাও নেওয়া হয়েছে। তবু, এর মধ্যেই শনিবার এখানকার পোলেরহাট থানা এলাকার নতুনহাটে লাউহাটি-হাড়োয়া রাস্তার ধারে সরকারি জায়গায় থাকা গাছ বেআইনি ভাবে কেটে ফেলার অভিযোগ উঠল। ওই উৎসব পালনের মধ্যে এই ঘটনায় এক শ্রেণির মানুষের সচেতনতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
ওই এলাকায় পাওয়ার গ্রিডের পাঁচিলের সামনে রাস্তা বরাবর ৩-৪টি শিরীষ গাছ ছিল। শনিবার সেই গাছই কাটা হয় বলে অভিযোগ। সরকারি কোনও নির্দেশ ছাড়াই গাছ কাটতে দেখে বাধা দেন পোলেরহাট ২ পঞ্চায়েতের উপপ্রধান তথা জমি কমিটির নেতা ইসরাফিল মোল্লা। যারা গাছ কাটছিল, তারা উপপ্রধানকে জানায়, পাওয়ার গ্রিড কর্তৃপক্ষই পাঁচিলের ধার থেকে ওই গাছ কেটে ফেলার নির্দেশ দিয়েছে। পাওয়ার গ্রিডের ভিতরে ঢুকে কর্তৃপক্ষের কাছে বিষয়টি জানতে চান ইসরাফিল। তবে, পাওয়ার গ্রিড কর্তৃপক্ষ জানান, গাছ কাটার জন্য কাউকে নির্দেশ দেওয়া হয়নি। এরপরই ইসরাফিল ও জমি কমিটির যুগ্ম সম্পাদক মির্জা হাসান বিষয়টি পোলেরহাট থানায় জানান। পুলিশ আসতেই যারা গাছ কাটছিল, তারা পালায়।
মির্জা হাসান বলেন, “এক দিকে প্রশাসন ভাঙড়ে ঘটা করে বৃক্ষরোপণ উৎসব পালন করছে। অন্য দিকে, রাস্তার ধার থেকে সরকারি গাছ বেআইনি ভাবে নির্বিচারে কেটে ফেলা হচ্ছে। গাছ রক্ষণাবেক্ষণে প্রশাসনের ভ্রুক্ষেপ নেই। প্রশাসনের উচিত, যারা বেআইনি ভাবে সরকারি গাছ কাটছিল, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া।”
পোলেরহাট থানার এক কর্তা জানান, অভিযোগ পাওয়ার পরই পুলিশ গিয়ে গাছ কাটা বন্ধ করে দিয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা বন বিভাগের এক কর্তা বলেন, “সরকারি গাছ কাটার কোনও অনুমতি দেওয়া হয়নি। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy