Advertisement
E-Paper

পর্যটন কেন্দ্রে যাওয়ার রাস্তা বেহাল, ভোগান্তি পর্যটকদের 

বাসন্তীর টেরেজ়া মোড় থেকে হেড়োভাঙা বিদ্যাসাগর বিদ্যামন্দির পর্যন্ত রাস্তার কাজ হচ্ছে। ৩৮ কোটি টাকা ব্যয়ে সাড়ে বাইশ কিলোমিটার রাস্তার কাজ দ্রুত গতিতেই করছে পূর্ত ও সড়ক দফতর।

এই খানাখন্দে ভরা রাস্তা দিয়েই পর্যটক ও এলাকার মানুষ যাতায়াত করেন।

এই খানাখন্দে ভরা রাস্তা দিয়েই পর্যটক ও এলাকার মানুষ যাতায়াত করেন। —নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ অগস্ট ২০২৩ ০৮:২২
Share
Save

বর্ষাকালে সুন্দরবনের শোভা চিরকালই আকর্ষণ করে আসছে পর্যটকদের। সম্প্রতি ইলিশ উৎসবে সুন্দরবনের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র ঝড়খালিতে অনেকে এসেছিলেন। কিন্তু যাতায়াতের রাস্তা খারাপ থাকায় বিরক্ত অনেকেই। এলাকার মানুষকেও ভোগান্তি সহ্য করতে হচ্ছে। প্রায় চার কিলোমিটার রাস্তা খানাখন্দে ভরে গিয়েছে। অভিযোগ, প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা।

বাসন্তীর টেরেজ়া মোড় থেকে হেড়োভাঙা বিদ্যাসাগর বিদ্যামন্দির পর্যন্ত রাস্তার কাজ হচ্ছে। ৩৮ কোটি টাকা ব্যয়ে সাড়ে বাইশ কিলোমিটার রাস্তার কাজ দ্রুত গতিতেই করছে পূর্ত ও সড়ক দফতর। কিন্তু চার কিলোমিটার রাস্তার কাজ কোনও অজ্ঞাতকারণে বন্ধ। গর্তে ভরে গিয়েছে রাস্তার এই অংশ। স্থানীয় মানুষের দাবি, দীর্ঘ কয়েক বছরে সংস্কার না হওয়ায় রাস্তার এই অবস্থা। একাধিকবার সংশ্লিষ্ট দফতরকে জানিয়েও লাভ হয়নি।

এলাকার বাসিন্দা সুদর্শন মণ্ডল, সুপ্রিয়া জানারা জানান, এই রাস্তা দিয়ে ছেলেমেয়েরা সাইকেল নিয়ে স্কুলে যেতে গিয়ে বহু বার পড়ে গিয়ে জখম হয়েছে। টোটো বা ভ্যান যেতে চায় না। এলাকার পর্যটন ব্যবসায়ী হর্ষিত হালদার বলেন, “এলাকার মানুষের অন্যতম জীবিকা পর্যটন। ঝড়খালি ব্যাঘ্র পুনর্বাসন কেন্দ্রে বাঘ, হরিণ, কুমির দেখতে মানুষ আসেন। কিন্তু রাস্তার এই হাল। অনেক সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। রাস্তা খারাপের জন্য অনেক সময়ে ট্যুর বাতিলও করে দিতে হচ্ছে।” দক্ষিণ ২৪ পরগনা ডিভিশনের বনাধিকারিক মিলনকান্তি মণ্ডল বলেন, “সত্যিই রাস্তাটি বেশ খারাপ। তবে এই রাস্তা বন দফতরের আওতাভুক্ত নয়, সুন্দরবন উন্নয়ন দফতরের আওতায় পড়ে। ফলে আমরা কিছুই করতে পারছি না।”

আশার বাণী শুনিয়েছেন বাসন্তীর বিধায়ক শ্যামল মণ্ডল। তিনি বলেন, “রাস্তাটি সুন্দরবন উন্নয়ন দফতরের আওতায় থাকলেও সম্প্রতি সেটি পূর্ত দফতরকে হস্তান্তর করা হয়েছে। বিধানসভায় এই রাস্তার মেরামতির বিষয়টি অনুমোদন পেয়েছে ইতিমধ্যেই। দরপত্র শীঘ্রই হবে। ১২ কোটি টাকা ব্যয়ে আগামী তিন মাসের মধ্যেই রাস্তা তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Jharkhali

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}