তৃণমূল নেতার সঙ্গে রাস্তায় হাতাহাতি মহিলার। —নিজস্ব চিত্র।
ছেলেদের চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা নিয়েছিলেন। কিন্তু চাকরি তো হয়নি। টাকাও ফেরত পাননি। এই অভিযোগে রাস্তার উপরে এক তৃণমূল নেতার জামার কলার ধরে মারধর করলেন এক মহিলা। অন্য দিকে, ওই তৃণমূল নেতার স্ত্রীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযোগকারিণী মহিলাকে গ্রেফতার করল পুলিশ। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ফ্রেজারগঞ্জের কয়লাঘাটা এলাকার ঘটনা।
স্থানীয় সূত্রে খবর, স্বপন দাস নামে ওই তৃণমূল নেতা কয়লাঘাটা বুথ থেকে পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থী হয়েছিলেন। তবে হেরে যান ভোটে। স্বপনের বিরুদ্ধে নূপুর হাজরা নামে এক মহিলার অভিযোগ, তাঁর স্বামী মারা যাওয়ায় পর কখনও ছেলেমেয়েকে চাকরি, কখনও সরকারি পরিষেবা পাইয়ে দেওয়ার নামে ধাপে-ধাপে প্রায় ৩০ হাজার টাকা নিয়েছেন। কিন্তু ছেলেমেয়ে চাকরি তো পাননি, টাকাও ফেরত পাননি নূপুর। তাঁর এ-ও অভিযোগ, এ নিয়ে অন্যান্য তৃণমূল নেতার কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন। কিন্তু কোনও ফল হয়নি। রাস্তায় ওই তৃণমূল নেতাকে দেখে তিনি টাকা ফেরত চান। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, কথা কাটাকাটি চলতে চলতে তৃণমূল নেতার গায়ে হাত তোলেন মহিলা। নেতার স্ত্রী ওই মহিলাকে নিরস্ত্র করতে গেলে তাঁর গায়েও হাত তোলা হয় বলে অভিযোগ। তৃণমূল নেতা স্বপনের দাবি, চাকরি দেওয়ার নামে তিনি কোনও টাকা নেননি। তাঁর কথায়, ‘‘গাড়ি কেনাবেচা নিয়ে ওই মহিলার সঙ্গে টাকার লেনদেন হয়েছিল। ওঁর কাছ থেকে একটা গাড়ি কেনা হয়েছিল। কিন্তু পরে জানতে পারি কাগজপত্র বৈধ ছিল না। তাই নিয়ে মামলা চলছে কাকদ্বীপ আদালতে। আর যে সময়ের কথা বলা হচ্ছে, সেই সময়ে আমি ডায়মন্ড হারবার জেলে ছিলাম। তা হলে তখন টাকা নিলাম কী করে? মিথ্যে বলছেন ওই মহিলা।”
কিন্তু নূপুরের অভিযোগ, “আমার কাছ থেকে হাজার তিরিশেক টাকা নিয়েছেন স্বপন। এখন আর টাকা ফেরত দিচ্ছেন না। টাকা চাইতে গেলে নানা অজুহাতে ঘুরিয়েছেন। আজ বলেছেন চাকরি দেব, কাল বলছেন টাকা ফেরত দেব। প্রাপ্য টাকা চাইতে গেলে মারধর করেছেন। ওঁর স্ত্রী আমাকে অপমান করেছেন।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘উনি যখন টাকা দেননি, তখন আমিও বলেছি, মেরে পাওনা টাকা আদায় করব।”
এর মধ্যে তৃণমূল নেতা স্বপনের স্ত্রী অনিমা দাস নূপুরের বিরুদ্ধে ফ্রেজারগঞ্জ কোস্টাল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তার পর গ্রেফতার হন নূপুর। তিনি পাল্টা অভিযোগ করবেন বলে জানান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy