প্রতীকী ছবি।
ঢোলাহাটের শঙ্করপুর পঞ্চায়েতে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি ওমর ফারুক হালদার এবং প্রাক্তন সভাপতি আব্দুস সালাম শাহের মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব অব্যাহত ছিলই। শনিবার কৃষ্ণচন্দ্রপুরে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সভায় যাওয়াকে কেন্দ্র করে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে ফের সভাপতি ওমর ফারুক হালদার-সহ দু’পক্ষের মোট ৩ জন আহত হলেন। দু’টি মোটরবাইক পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। উত্তেজনা কমাতে এবং অস্ত্রের খোঁজে বিশাল পুলিশ বাহিনী এবং র্যাফ এলাকায় টহলদারি চালাচ্ছে। ৮ জন আটক হয়েছে। সুন্দরবন পুলিশ জেলার সুপার তথাগত বসু বলেন, ‘‘পুলিশ এ বার খুবই কড়া পদক্ষেপ করবে। ঝামেলা করার জন্য ইতিমধ্যেই ৮ জনকে আটক করেছি আমরা। তদন্ত করে গ্রেফতার করা হবে। এলাকায় চিরুনি তল্লাশি চালানো হচ্ছে।’’
গত কয়েক মাসে তৃণমূলের ওই দুই গোষ্ঠীর আহতের সংখ্যা কয়েকজন মহিলা-সহ ৫০ পেরিয়ে গিয়েছে। এলাকায় প্রতিনিয়ত বোমাবাজি এবং অস্ত্র নিয়ে মারপিট অব্যাহত বলে অভিযোগ।
পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন কৃষ্ণচন্দ্রপুরে শোভন চট্টোপাধ্যায়, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়দের সভা ছিল। সেখানে যাওয়ার জন্য স্থানীয় মাদারপাড়া পোলের কাছে আলাদা করে জড়ো হচ্ছিল দুই গোষ্ঠীর লোকজন। এর মধ্যে একটি গোষ্ঠী মিছিল করে এসে অন্য গোষ্ঠীর সঙ্গে মারপিট শুরু করে।
ফারুক পায়ে চোট নিয়ে ডায়মন্ড হারবার হাসপাতালে ভর্তি। তাঁর দাবি, ‘‘মিছিল নিয়ে এসে সালাম শাহরাই আক্রমণ করেছে। আমি ও ভাই হাবিবুল্লা হালদার আহত।’’
অন্য দিকে সালাম শাহের দাবি, ‘‘মিছিল নিয়ে মাদারপাড়ায় গেলে জনসভায় যেতে ফারুক গোষ্ঠী বাধা দেয়। আমরা প্রতিবাদ করলে বোমাবাজি শুরু করে। পালিয়ে আসার সময়ে আমাদের হাসিবুজ্জামান গাজি আহত হয়েছেন।’’
মথুরাপুর ১ ব্লকের তৃণমূল সভাপতি অমিয় গায়েন বলেন, ‘‘এ ভাবে চলতে দেওয়া যাবে না। সামনে পঞ্চায়েত ভোট। দল ঘটনার তদন্ত করবে। যার দোষ পাওয়া যাবে, তার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy