বাড়িতে বসেছে বিয়ের আসর। রবিবার রাত তখন সাড়ে ৯টা। সবে এসেছে বর। গোটা বাড়ি সরগরম উলুধ্বনি, শঙ্খধ্বনিতে। জামাই বরণের তোড়জোড়ে ব্যস্ত সকলে। ঢোল-বাদ্যির শব্দে খুশির পরিবেশ। সকলে ব্যস্ত নতুন বর দেখার জন্য। আর সেই সুযোগেই তখন দোতলার ঘরের গ্রিল কেটে জিনিসপত্র নিয়ে পালানোয় ব্যস্ত চোর!
উত্তর ২৪ পরগনার বেড়াচাঁপায় এমন ঘটনার তদন্তে নেমে তাজ্জব দেগঙ্গা থানার পুলিশ। চোরের খোঁজে জোর তল্লাশি চলছে বলে জানিয়েছে তারা। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের অনুমান, বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠানের কথা জানত চোর।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার ছিল ওই এলাকার বাসিন্দা রতন কর্মকারের ভাইঝির বিয়ে। পাশাপাশি বাড়ি। দুই বাড়ির উঠোন জুড়ে তৈরি হয়েছিল বিয়ের প্যান্ডেল। রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ ব্যান্ডপার্টি নিয়ে বর আসতেই দোতলার গেটে তালা লাগিয়ে হুড়মুড়িয়ে নীচে নেমে পড়েন রতনবাবুর পরিবার। সেই সুযোগেই কপাল খোলে চোরের।
সোমবার পরিবারের লোকজন জানালেন, এক দিকে মাইকে গান আর অন্য দিকে ব্যান্ডপার্টির বাজনা, চিৎকার আর শোরগোলে সরগরম বাড়ি। রতনবাবুর ছেলে সুশান্ত কর্মকার জানান, এরই মধ্যে পড়শিদের কেউ-কেউ টের পান, তালা বন্ধ দোতলার ঘরের ভিতর থেকে কেমন যেন একটা শব্দ হচ্ছে। সুশান্ত বলেন, ‘‘নীচের তালা খুলে আমি দোতলায় উঠে দেখি, একটা শাবল পড়ে আছে। ঘরে ঢুকে দেখি, জিনিসপত্র লন্ডভন্ড। পিছনের একটা জানালার গ্রিল ভাঙা।’’ সুশান্তবাবু ঢোকার আগেই জিনিসপত্র নিয়ে ওই জানলা গিয়েই চম্পট দেয় চোর। জানা গিয়েছে, কয়েক হাজার টাকা, গয়না, অন্য জিনিসপত্র খোয়া গিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy