ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে মৌড়িগ্রামের ইন্ডিয়ান অয়েল ডিপো। প্রতীকী ছবি।
ট্যাঙ্কার মালিক ও পাম্প মালিকদের একাংশের হুমকি এবং পাল্টা হুমকিতে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে মৌড়িগ্রামের ইন্ডিয়ান অয়েল ডিপো। শুক্রবারই পাম্প মালিকেরা বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, ওই ডিপোয় গাড়ির চালকদের উপরে মারধর, দাদাগিরি বন্ধ না হলে সেখান থেকে তেল কেনা বন্ধ করে দেবেন। এ ছাড়া, আইওসি (ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন)-এর কনসর্টিয়ামের সমস্ত নিয়ম মেনে নিজেদের পাম্প ছাড়াও আইওসি স্বীকৃত অন্য পাম্পে তেল সরবরাহ চালিয়ে যাবেন তাঁরা। এ বার বাধা এলে রাজ্য প্রশাসনের উচ্চস্তরে তা জানানো হবে এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার পরে প্রয়োজনে মৌড়িগ্রাম ডিপো থেকে তেল কেনা বন্ধ করে দেওয়া হবে। পাল্টা ট্যাঙ্কার সংগঠনের পক্ষ থেকে এ দিন জানানো হয়েছে, পাম্প মালিকেরা গা-জোয়ারি করে এই কাজ করলে তাঁরাও চুপ করে বসে থাকবেন না। তাঁরাও এ ব্যাপারে বৈঠক ডেকে পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করবেন। কারণ, কনসর্টিয়াম করে এই ভাবে তেল বিক্রি তাঁরা কিছুতেই মানবেন না।
বৃহস্পতিবারই ট্যাঙ্কার মালিকদের সংগঠনের তরফে দাবি করা হয়েছিল, ১৮টি গাড়ির ডিলারেরা জানিয়েছেন, তাঁরা নিজেদের পাম্প ছাড়া অন্য পাম্পের তেল তুলবেন না। এই বক্তব্যের পরেই শুক্রবার ওয়েস্ট বেঙ্গল পাম্প ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের বিভিন্ন জেলার সদস্যেরা হাওড়ায় একটি বৈঠকে বসেন। বৈঠকের পরে সংগঠনের পক্ষ থেকে কার্যকরী সভাপতি প্রসেনজিৎ সেন জানান, তাঁরা কোনও ভাবেই সিদ্ধান্ত নেননি যে, ১৮টি গাড়ি নিজের পাম্প ছাড়া অন্য পাম্পের তেল তুলবে না।
প্রসেনজিৎ বলেন, ‘‘তেল সরবরাহের ক্ষেত্রে আইওসি যেমন অবৈধ কিছু করতে পারে না, তেমনই পাম্প মালিকেরাও করতে পারেন না। তাই অবৈধ ভাবে আমরা তেল সরবরাহ করিনি। ট্যাঙ্কার মালিক সংগঠনের কিছু মুষ্টিমেয় সদস্য মৌড়িগ্রামে নিজেদের স্বার্থে এই সমস্যাগুলি তৈরি করছেন। ওই ডিপোয় দাদাগিরি চালিয়ে যাচ্ছেন। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আইওসি-র সমস্ত স্বীকৃত পাম্পে আমরা যেমন তেল সরবরাহ করছিলাম, তা করব। বাধা এলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ প্রসেনজিতের দাবি, যে ১৮টি গাড়ি নিয়ে বলা হচ্ছে, সেই সংখ্যাটা আসলে ন’টি। ওই ন’টি গাড়িরও আইওসি-র স্বীকৃতি-সহ দরপত্রের সমস্ত কাগজপত্র রয়েছে।
এ ব্যাপারে মৌড়িগ্রাম ট্যাঙ্কার মালিকদের সংগঠনের সম্পাদক রাজকুমার চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ‘‘পাম্প মালিকেরা গা-জোয়ারি করে এত দিন ট্যাঙ্কার চালকদের ভাত মেরেছেন। এখন আবার উল্টে হুমকি দিচ্ছেন। তাঁরা যদি জোর করে কনসর্টিয়ামের গাড়ি ঢোকান, তা হলে আমরাও চুপ করে থাকব না। আমাদেরও পরিকল্পনা করে ব্যবস্থা নিতে হবে।’’
পাম্প মালিক ও ট্যাঙ্কার মালিকদের এই টানাপড়েনের জেরে মৌড়িগ্রামের ডিপো থেকে হাওড়া, হুগলি, কলকাতা, দুই ২৪ পরগনা, নদিয়া ও কৃষ্ণনগরে যে তেল সরবরাহ হয়, তা কি বিঘ্নিত হতে পারে? এই প্রসঙ্গে ওই ডিপোর জেনারেল ম্যানেজার (কর্পোরেট কমিউনিকেশন্স) কৃষ্ণেন্দু চৌধুরী বলেন, ‘‘সমস্যা হলে আমরা স্থানীয় প্রশাসনকে জানাব। তাঁরা যা সিদ্ধান্ত নেবেন, তা-ই হবে। তবে রাজ্যের সব পাম্পে তেল সরবরাহ স্বাভাবিক রাখা আমাদের কাজ।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy