শুভেন্দু অধিকারী ফাইল ছবি।
ইয়াসে নদীবাঁধ ভাঙার জন্য রাজ্য সরকারকেই দায়ী করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বৃহস্পতিবার বারুইপুরে তিনি বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী কোনও স্থায়ী কাজ করেন না। ২০১১ সালের পর থেকে সেচের উপর কোনও কাজ করেনি রাজ্য সরকার। আয়লার পর বাঁধ যেখানে যে অবস্থাতেই ছিল সেই অবস্থাতেই রয়েছে।’’ পাল্টা সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা বলেছেন, শুভেন্দু অধিকারী মিথ্যাচার করছেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বারুইপুরে বিজেপি-র জেলা কার্যালয়ে আসেন শুভেন্দু অধিকারী। নরেন্দ্রপুরের খেয়াদহ ২ পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা মৃত বিজেপি কর্মী নির্মল মণ্ডলের স্ত্রীর হাতে ৫ লক্ষ টাকা তুলে দেন তিনি। ওই বিজেপি কর্মীকে খুনের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। সেখানে মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে শুভেন্দু বলেন, ‘‘৫০০ টাকা হাত খরচ, ১ কেজি চাল, নীল সাদা রঙ, হাঁড়ি কলসি, ভাঙা সাইকেল বিতরণে মুখ্যমন্ত্রী ব্যস্ত থাকেন। রাজ্যের স্বার্থে স্থায়ী বাঁধের পরিকল্পনা করেন না। ঘূর্ণিঝড় বা কটালে বাঁধ ভেঙে গেলে কিছু লোক বসানো আছে, তাঁরা তখন কিছু কাজ করে দেয়, আবার সেটা জলে তলিয়ে যায়। বাম আমলেও আয়লার কাজ হয়েছিল, সেখানেও দুর্নীতি হয়েছিল।’’
শুভেন্দু আরও বলেন, ‘‘২০১১ সালের পর দুই মেদিনীপুরে সেচের একটাই কাজ হয়েছে, একটা বড় সেতু হয়েছে কেলেঘাই-কপালেশ্বরী নদীতে। এতে কেন্দ্র দিয়েছে ৭৫ ভাগ টাকা, রাজ্য সরকার ২৫ ভাগ টাকা দিয়েছে। এর বাইরে কিছু হয়নি।’’ ‘দুয়ারে ত্রাণ’ প্রকল্প নিয়ে কটাও করে নন্দীগ্রামের বিধায়ক লেন, ‘‘দুয়ারে ত্রাণ প্রকল্প দিতে যাচ্ছে আমপানের চোররা। কোথাও সরকারি আধিকারিক নেই, তৃণমূলের লোকজনই আছে দেখাশোনায়। বিজেপি পতাকা নিয়ে ত্রাণ দিতে যায় না, তৃণমূল সাদা নীল টুপি পরে ত্রাণ দেয়।’’
তবে বিরোধী দলনেতাকে পাল্টা জবাব দিতে ছাড়েনি জোড়াফুল শিবির। সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা বলেন, ‘‘তিনি যখন মন্ত্রী ছিলেন কী কাজ করেছেন? মুখেই খালি বড় বড় কথা। দল ছাড়ার পর সব দোষ তৃণমূলের। শুভেন্দুবাবুর মতো লোকজনের জন্যই দুর্নীতি হয়েছিল আমপানে। ওঁকে নিয়ে যতই কম মন্তব্য করা যায় ততই ভাল। আর দুয়ারে ত্রাণ নিয়ে উনি মিথ্যা কথা বলছেন। খবর নিয়ে দেখুক প্রশাসনের প্রতিনিধিরা ওই ক্যাম্প চালাচ্ছেন। এর সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই। শুভেন্দুবাবুকে বলব মিথ্যাচার কম করুন। মানুষকে বিভ্রান্ত করবেন না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy