নিজস্ব চিত্র
ট্রলারের মধ্যে মৎস্যজীবীর রহস্য মৃত্যুকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল কাকদ্বীপে। বৃ্হস্পতিবার স্থানীয় ময়নাপাড়ার খালে থাকা একটি ট্রলার থেকে উদ্ধার হয় এক মৎস্যজীবীর ঝুলন্ত দেহ। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, তাঁকে খুন করা হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে মৃত মৎস্যজীবীর নাম পাঁচু মণ্ডল(২৪)। কাকদ্বীপের নারায়ণপুর এলাকার বাসিন্দা তিনি।
এ বছর ১৫ জুন নদী ও সমুদ্রে মাছ ধরার ওপর সরকারি নিষেধাজ্ঞা উঠে যায়। এরপরই ‘এফবি গোবিন্দ’ নামে একটি ট্রলারে করে পাঁচু-সহ ১৮ জন মৎস্যজীবী গভীর সমুদ্রে ইলিশ ধরতে পাড়ি দিয়েছিলেন। পাথরপ্রতিমার সীতারামপুরের কাছে গিয়ে মৎস্যজীবীরা দেখতে পান ট্রলারটি ফুটো হয়ে ক্রমাগত জল ঢুকছে। তড়িঘড়ি ট্রলারটি নিয়ে কাকদ্বীপ বন্দরের কাছে ময়নাপাড়ার কালনাগিনী খালের মধ্যে নিয়ে আসা হয়। দ্রুত ট্রলারটি মেরামতির কাজ চালাচ্ছিলেন মৎস্যজীবীরা।
বুধবার রাতে ট্রলারের মৎস্যজীবীরা ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। এর পর বৃহস্পতিবার সকালে মৎস্যজীবীরা ট্রলারের মধ্যে পাঁচুর ঝুলন্ত মৃতদেহ দেখতে পান। খবর দেওয়া হয় হারুউড পয়েন্ট উপকূল থানায়। বৃহস্পতিবার মৃতদেহটির ময়নাতদন্ত হয় কাকদ্বীপ হাসপাতাল মর্গে। মৃতের পরিবারের লোকজনদের অভিযোগ, ট্রলারের মধ্যে বচসার জেরে পাঁচুকে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে। পুলিশ একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। হত দরিদ্র পরিবারে একমাত্র রোজগেরে সদস্য ছিলেন পাঁচু। পরিবারে অভাব ঘোচাতে গত কয়েক বছর ধরে মাছ ধরতে যেতেন তিনি। তাঁর মৃত্যুর পর অসহায় হয়ে পড়ল গোটা পরিবার। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের পাশাপাশি দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy