সুন্দরবনে হোটেল বন্ধের নির্দেশ। নিজস্ব চিত্র।
উপকূলের পরিবেশ বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে সুন্দরবনের ৮টি হোটেল বন্ধের নির্দেশ দিল রাজ্যের দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। পর্ষদ সূত্রের খবর, চলতি সপ্তাহেই হোটেলগুলি বন্ধের নোটিস পাঠানো হয়েছে। ৮টি হোটেলের মধ্যে ফ্রেজারগঞ্জ উপকূল থানার ৫টি লজ, ১টি হোটেল, সুন্দরবন উপকূল থানার ১টি এবং ক্যানিং থানা এলাকার ১টি হোটেল রয়েছে।
পর্ষদ জানিয়েছে উপকূল এলাকায় হোটেলগুলি অবস্থিত হলেও উপকূলের পরিবেশ বিষয়ক কোস্টাল রেগুলেশন জোন (সিআরজেড)-এর ছাড়পত্র নেই। ইতিমধ্যেই হোটেলগুলির বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট থানাগুলিকে হোটেলগুলির উপর নজর রাখতে বলা হয়েছে। হোটেলগুলি খোলা থাকলে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতেও বলা হয়েছে।
আমপান এবং দীর্ঘ লকডাউনের ধাক্কা কাটিয়ে আস্তে আস্তে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে শুরু করেছে সুন্দরবনের পর্যটন কেন্দ্রগুলি। রাজ্যের দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের এই নিষেধাজ্ঞায় চরম হতাশ হোটেল ব্যবসায়ীরা। বকখালির এক হোটেল ব্যবসায়ী সুজিত মঙ্গল বলেছেন, ‘‘এতদিন ধরে হোটেল বন্ধ থাকার পর সবে চালু করেছি। তার মধ্যে বন্ধের নোটিস দিলে পথে বসতে হবে। সরকার মানবিক দৃষ্টিতে ব্যাপারটা দেখুক।’’
জাতীয় পরিবেশ আদালত একটি স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করে। রাজ্যের তরফে জাতীয় পরিবেশ আদালতে পেশ করা রিপোর্টে জানানো হয়েছে সুন্দরবন উপকূলে প্রায় ২০০-র কাছাকাছি অবৈধ হোটেল রয়েছে। এগুলির বিরুদ্ধে আদালত ব্যবস্থা নিতে বলে। তার পরই রাজ্যের দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের পক্ষ থেকে সুন্দরবনের ৮টি হোটেল বন্ধ রাখার নোটিস পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত বলেন ‘‘অবৈধ ভাবে বহু হোটেল চলছে সুন্দরবন উপকূলে। তার মধ্যে মাত্র ৮টি হোটেল বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বাকি হোটেলগুলির বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। তবে বিষয়টি মানবিক ভাবে দেখতে হবে।’’ রাজ্যের দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের এক আধিকারিক বলেছেন ‘‘আপাতত ৮টি হোটেলে নোটিস পাঠানো হলেও তালিকায় থাকা বাকি হোটেলগুলির বিরুদ্ধে ধাপে ধাপে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy