Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Sundarban

নামখানায় নদীবাঁধ পরিদর্শনে এসে স্থানীয়দের বিক্ষোভের মুখে সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা

সুন্দরবনের নামখানার নারায়ণগঞ্জে নদীবাঁধ ভেঙে একাধিক বার প্লাবিত হয়েছে গোটা এলাকা। এমনকি, দুর্গাপুজোর আগেও প্রায় ৫০ মিটার এলাকা জুড়ে নদীবাঁধ ভেঙে যায়।

সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা।

সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা। —নিজস্ব চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
নামখানা শেষ আপডেট: ১৭ অক্টোবর ২০২৪ ১২:৪২
Share: Save:

দক্ষিণ ২৪ পরগনার নামখানায় নদীবাঁধ পরিদর্শনে এসে এলাকার মানুষের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা। বৃহস্পতিবার সকালে নারায়ণগঞ্জ এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে।

নামখানার নারায়ণগঞ্জে নদীবাঁধ ভেঙে একাধিকবার প্লাবিত হয়েছে গোটা এলাকা। এমনকি, দুর্গাপুজোর আগেও প্রায় ৫০ মিটার এলাকা জুড়ে নদীবাঁধ ভেঙে যায়। আতঙ্ক ছড়ায় এলাকায়। বাঁধ ভাঙার ঘটনায় প্রশাসন তৎপরতার সঙ্গে কাজ শুরু করে। কাজ চলার সময় একটি জেসিবিও ভাঙনের কবলে পড়ে নদীগর্ভে তলিয়ে যায়। এর পর বৃহস্পতিবার সকালে সেই নদীবাঁধ পরিদর্শনে এসে এলাকার মানুষের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রীকে। পুলিশ-প্রশাসনের সামনেই মন্ত্রীকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখান এলাকার মানুষ।

এলাকার বাসিন্দাদের দাবি, একাধিক বার এই অঞ্চলে নদীবাঁধ ভাঙলেও প্রশাসনের তরফে মেরামতি হয় না। ফলে বার বার বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয় ঘরবাড়ি, চাষের জমি। এমনকি এই ভাঙনের কবলে পড়ে সম্প্রতি এক মহিলার মৃত্যুও হয়েছে। স্থানীয়দের দাবি, পাকাপাকি ভাবে বোল্ডার ফেলে নদীবাঁধ সারাইয়ের কাজ করলে এমন পরিস্থিতি তৈরি হত না। এই সব অভিযোগ নিয়েই বৃহস্পতিবার সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রীকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন এলাকার মানুষ। তাঁদের দাবি, প্রশাসনকে পাকাপাকি ভাবে নদীবাঁধ সারাইয়ের কাজ করতে হবে। না হলে কাজ এগোতে দেবেন না তাঁরা।

এ প্রসঙ্গে বঙ্কিম বলেন, ‘‘গত কালই বিষয়টি জেনেছি যে, নারায়ণগঞ্জে নদীভাঙনের প্রেক্ষিতে সরকারি কাজ চলছিল। সেখানে আমাদের একটি জেসিবি মেশিন নদীগর্ভে চলে যায়। চালক কোনও মতে প্রাণে বেঁচেছে। এটা তাঁদের ক্ষোভের বহিপ্রকাশ। কারণ এর আগে কোনও জনপ্রতিনিধি এখানে আসেননি। আমিই প্রথম জনপ্রতিনিধি হিসাবে এখানে এলাম।ফলে তাঁদের ক্ষোভ স্বাভাবিক। তবে আমি যথাসাধ্য তাঁদের বোঝানোর চেষ্টা করেছি। মানুষের কাছে হাতজোড় করেও বলেছি, আমাদের সময় দিন।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy