বৌমা ও নাতনিকে যৌন হেনস্থার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে শ্বশুরের বিরুদ্ধে। ঘটনার প্রতিবাদ করেছিলেন বৌমা। অভিযোগ, সে জন্য ছেলে, বৌমা ও নাতনিকে বাড়ি থেকে বার করে দিয়েছেন ওই প্রৌঢ়। অগত্যা দিন তিনেক ধরে বাড়ির বাইরে কাটাচ্ছেন ওই তিন জন।
ঘটনাটি ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চল এলাকার ঘটনা।
জানা যাচ্ছে, ওই প্রৌঢ়ের ছেলের সঙ্গে বছর আটেক আগে এলাকারই এক তরুণীর বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই শ্বশুর ও ননদ তাঁর উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাতেন বলে অভিযোগ ওই তরুণীর। বছর পাঁচেক আগে তাঁর একটি কন্যাসন্তান হয়। শনিবার ওই তরুণী অভিযোগ করেন, শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের পাশাপাশি তাঁকে সব সময়ে যৌন হেনস্থার চেষ্টা করতেন শ্বশুর। হুমকি দিতেন, বিষয়টিতে সম্মতি না দিলে বাড়ি থেকে বার করে দেবেন। তরুণী বলেন, ‘‘দিনের পর দিন এটা চললেও আমি সহ্য করছিলাম। সম্প্রতি
আমার পাঁচ বছরের মেয়েকেও যৌন হেনস্থার চেষ্টা করেছিলেন।’’
তরুণীর দাবি, তার প্রতিবাদ করতেই বাড়ি ছেড়ে তাঁদের চলে যাওয়ার হুমকি দেন শ্বশুর। দিন কয়েক আগে থানায় অভিযোগ জানাতে গেলেও পুলিশ সহযোগিতা করেনি
বলে অভিযোগ তরুণীর। তাঁর আরও দাবি, দিন চারেক আগে তাঁরা কেউ বাড়িতে না থাকার
সুযোগে একটি ব্যাগে ছেলে, বৌমা ও নাতনির জামা কাপড় ঢুকিয়ে বাড়ির বাইরে রেখে দরজায় ভিতর থেকে তালা মেরে দেন ওই প্রৌঢ়।
তাঁর ছেলের অভিযোগ, ‘‘আমাকে এই বাড়িতে ওঁরা থাকতে না দিয়ে পুরোটাই নিজেদের হাতে রাখতে চান বাবা ও দিদি। তাই আমার বৌয়ের উপর অত্যাচার করতেন। প্রতিবাদ করতেই বার করে দিয়েছেন।’’
তরুণীর দাবি, তাঁরা আদালত থেকে বাড়িতে ঢোকার অনুমতি নিয়ে এলেও পুলিশ কোনও সহযোগিতা করছে না। অভিযোগ অস্বীকার করে ব্যারাকপুর সিটি পুলিশের এক কর্তা
জানান, থানা থেকে পুলিশ ওই বাড়িতে গিয়েছিল, কিন্তু প্রৌঢ় জানিয়ে দেন, বাড়ি তাঁর নামে
আছে। তিনি ছেলেকে সেখানে থাকতে দেবেন না। ওই কর্তা আরও বলেন, ‘‘জোর করে
তালা ভেঙে বাড়িতে ঢোকানোর কোনও নির্দেশ পুলিশকে দেওয়া হয়নি।’’ অন্য দিকে, এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি ওই প্রৌঢ়।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)