ফ্যাশনের খাতিরে কোমর ও গোড়ালির উপর অত্যাচার করছেন না তো? হিলের কারণে ক্ষতি তো সকলেরই কমবেশি হয়ই। কেউ ব্যথার কথা স্বীকার করেন, কেউ করেন না। ‘হিল না পরলে সাজ ঠিক করে ফুটেই উঠবে না!’ তাই কি? কিন্তু ফ্যাশন-দুনিয়ায় যে হিলের আর একচ্ছত্র দাপট নেই। ফ্যাশন র্যাম্প থেকে রেড কার্পেট পর্যন্তই তার দৌড়। কিন্তু সে সবের বাইরে এ বার হিলের সঙ্গে পাল্লা দিতে হাজির হয়েছে আরও নানা ধরনের জুতো-চটি। এখন নাকি মাটিতে পা পড়াই বেশি কায়দার।
আরও পড়ুন:
ব্যালেরিনা ফ্ল্যাটস: নামেই টের পাওয়া যাচ্ছে, ব্যালে নৃত্যশিল্পীদের জুতোর সঙ্গে মিল রয়েছে। হিল-হীন, নরম উপাদানে বানানো এই ফ্ল্যাট জুতো ফ্যাশন-প্রেমীদের পছন্দের। পার্টি হোক বা সারা দিনের অফিস, এই জুতোয় আরামও পাবেন, সাজেও নতুনত্ব আসবে।

ব্যালেরিনা ফ্ল্যাটস। ছবি: সংগৃহীত।
প্ল্যাটফর্ম লোফার্স: মাটি থেকে উঁচুতে পা, অথচ সোল আনুভূমিক হওয়ার ফলে পায়ে ব্যথা হওয়ার ঝুঁকি নেই। এই জুতোর সোলটিই খানিক মোটা হয়। হিলের অভ্যাস ছাড়ার পর নিজেকে যদি বেঁটে বলে মনে হয়, তা হলে এই ধরনের জুতোয় পা গলাতে পারেন।

প্ল্যাটফর্ম লোফার্স। ছবি: সংগৃহীত।
কিটেন হিলড মিউলস: হিলের হালকা ছোঁয়া। তবে তা একেবারেই নগণ্য। এই জুতো এক ধরনের স্টিলেটো হিল। উচ্চতা সাধারণত ৫ সেমিরও কম। হাই হিলের তুলনায় অনেক বেশি সুবিধাজনক এই জুতো।

কিটেন হিলড মিউলস। ছবি: সংগৃহীত।
স্নিকার্স: ওয়ান পিস ড্রেস হোক বা শার্ট-জিন্স, শাড়ি হোক বা বিকিনি, স্নিকার্স সব ক্ষেত্রেই মানানসই। পেডিকিওর না করা থাকলে, নখে রং না মাখা থাকলেও স্নিকার্সের ভরসা করা যায়, আবার মানানসই সাজের জন্যেও বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া যেতে পারে স্নিকার্সকে।

স্নিকার্স। ছবি: সংগৃহীত।
কোলাপুরি: চামড়া দিয়ে হাতে বানানো কোলাপুরি চটি মহারাষ্ট্র এবং কর্নাটকের ঐতিহ্য। সেই চটির বহু দিনই ফ্যাশনের দুনিয়ায় কদর। ছিমছাম, অথচ ঐতিহ্যবাহী এই চটি কয়েক দিন হাঁটাহাঁটি করার পরে দিব্যি আরামপ্রদ।

কোলাপুরি। ছবি: সংগৃহীত।
মেরি জেন: পুরনো দিনের কেডস জুতোয় নতুনত্বের ছোঁয়া। চকচকে গা, চকচকে স্ট্র্যাপ। সাদামাটা স্ট্র্যাপের বদলে কখনও চুলে বাঁধা রিবনের গিঁট, কখনও আবার সাদা পাথর বসানো।

মেরি জেন। ছবি: সংগৃহীত।