শীতের এই দৃশ্য কি বর্ষাতেও মিলবে? নিজস্ব চিত্র।
ভরা বর্ষায় যখন বিভিন্ন ট্যুরিস্ট স্পটগুলি বন্ধ থাকে, তখন ভ্রমণপিপাসু পর্যটকেরা যাতে সুন্দরবনে আসেন, সে জন্য একগুচ্ছ প্যাকেজের কথা ঘোষণা করছেন পর্যটন ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত লোকজন।
জুনের একটা নির্দিষ্ট তারিখের পরে পাহাড়ে ‘অফসিজন’। ডুয়ার্সের জঙ্গল সাফারিও বন্ধ। কিন্তু ভরা বর্ষায় সেজে ওটে সুন্দরবন। যা দু’চোখ ভরে দেখতে, গভীর ম্যানগ্রোভ অরণ্যে বৃষ্টির শব্দ শুনতে ছুটে আসেন পর্যটকেরা।
যাকে মাথায় রেখে এখানকার হোটেল, রিসর্ট ও লঞ্চ মালিকেরা চিন্তাভাবনা শুরু করেছেন। বৃষ্টির মধ্যে লঞ্চে বসে দূরে সবুজের দিকে তাকিয়ে থাকার সঙ্গে যদি একটু খিচুড়ি, বেগুন ভাজা, সঙ্গে ইলিশের ব্যবস্থা থাকলে তো সোনায় সোহাগা। এমনিতে শীত বা বসন্তকালেও প্রকৃতি অকাতরে সাজিয়ে তোলে সুন্দরবনের বনাঞ্চল। সেই সঙ্গে এ বার বর্ষাতেও পর্যটকদের কাছে সুন্দরবনকে আকর্ষণীয় করে তোলার চেষ্টা চালাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।
শীতের ভরা পর্যটন মরসুমে যেখানে পর্যটকদের থেকে থাকা-খাওয়া-ঘোরা-সহ মাথা-পিছু নেওয়া হতো ২৫০০-৩০০০ হাজার টাকা, সেখানে ছাড় দিয়ে মাথা-পিছু নেওয়া হচ্ছে ১৮০০-২০০০ টাকা।
এ বিষয়ে ক্যানিঙে ভ্রমণ সংস্থার পক্ষে সৌমিত্র বারিক বলেন, ‘‘অফসিজন অর্থাৎ বর্ষার মরসুমেও পর্যটকেরা সুন্দরবনে আসুন, আমরা তাই চাই। বর্ষায় সুন্দরবন আরও প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে। পর্যটকদের তা বোঝাতে আমরা বিশেষ ছাড়ের ব্যবস্থা করেছি। ইতিমধ্যে রথের ছুটি, স্বাধীনতা দিবসের ছুটি উপলক্ষে পর্যটকেরা বুকিং শুরু করেছেন।’’
ক্যানিঙের এক লঞ্চ মালিক শশধর মান্না বলেন, ‘‘পর্যটন মরসুমে আমরা মাথা পিছু ২৫০০-৩০০০ টাকা নিয়ে থাকি। এই সময়ে যাতে পর্যটকেরা সুন্দরবনে আরও বেশি বেশি করে আসেন, সে জন্য আমরা বিশেষ ছাড়ের ব্যবস্থা করেছি।’’
সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘আমরা চাই পর্যটকেরা সারা বছরই সুন্দরবনে বেড়াতে আসুন। এ জন্য আমরা গাইডদের এ সময়ে বিশেষ ট্রেনিং দিচ্ছি, যাতে তাঁরা সুন্দরবনকে পর্যটকদের কাছে আরও নিবিড় ভাবে চেনাতে পারেন। সুন্দরবনের প্রতি আগ্রহ তৈরি করতে পারেন মানুষের মনে।’’
সরকারি ভাবে পর্যটকদের জন্য বর্ষার মরসুমে ছাড়ের ব্যবস্থা না থাকলেও ভরা বর্ষায় পর্যটকদের সুবিধা-অসুবিধার দিকে বিশেষ নজর দেওয়া হবে বলে আশ্বস্ত করেছেন বন দফতরের এক আধিকারিক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy