বনগাঁয় ফাটছে শব্দবাজি। —নিজস্ব চিত্র।
সন্ধে পর্যন্ত মনে হচ্ছিল এ বার শব্দবাজি নিয়ন্ত্রণে অনেকটাই সফল পুলিশ। কিন্তু রাত বাড়তেই সেই ধারণা ভাঙল। কালীপুজোতে যত রাত বাড়ল, তত শব্দবাজির দাপট বাড়ল দক্ষিণে। তবে উত্তরে এ বার গত বছরের তুলনায় কম শব্দবাজি ফেটেছে।
শনিবার একটু রাত বাড়তে দেদার শব্দবাজিতে কান পাতা দায় হয় ক্যানিংবাসীর। দাপট চলে রাতভর। স্থানীয় বাসিন্দা নীলিমা মণ্ডলের ক্ষোভ, ‘‘কোনও কোনও বাজির আওয়াজ এতটাই তীব্র ছিল যে কানে তালা লেগে গিয়েছে। পুলিশের নজরদারি সে ভাবে চোখে পড়েনি।’’ তবে ক্যানিং মহকুমা পুলিশের এক কর্তার দাবি, শব্দবাজি রুখতে পুজোর আগে থেকেই ধরপাকড় শুরু হয়েছিল। প্রচুর বাজি বাজেয়াপ্ত করা হয়। বিভিন্ন মোড়ে পুলিশ মোতায়েন ছিল। শব্দবাজি ফাটানোর জন্য ক্যানিং মহকুমার বিভিন্ন এলাকা থেকে ১৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ডায়মন্ড হারবার এবং কাকদ্বীপ মহকুমার বিভিন্ন এলাকাতেও দেদার শব্দবাজি ফেটেছে কালীপুজোর রাতে।
উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ মহকুমার মধ্যে হাবরা এবং গাইঘাটায় রাত বাড়তেই শব্দবাজির তাণ্ডব শুরু হয়েছে। তবে এই মহকুমার সর্বত্র একই ছবি ছিল না। বনগাঁ, বাগদা-সহ কয়েকটি এলাকায় শব্দবাজির তুলনায় আতসবাজি পোড়াতে বেশি দেখা গিয়েছে। উড়তে দেখা গিয়েছে ফানুস।
দেগঙ্গায় তুবড়ি।
বসিরহাট মহকুমার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা গিয়েছে, অন্য বছরের তুলনায় শব্দবাজির দাপট ছিল অনেকটাই কম। বসিরহাটের বাজি ব্যবসায়ীরা জানান, এ বার শব্দ বাজির বিক্রি ছিল তুলনায় কম। কারণ হিসেবে তাঁরা জানিয়েছেন, দাম বেড়ে যাওয়া এবং পুলিশ প্রশাসনের শব্দবাজির বিরুদ্ধে নিরন্তর প্রচারের জন্য এ বার শব্দ বাজির বিক্রি ছিল কম। তার ফলও মেলে হাতেনাতে। তবে রাত বাড়তে অবশ্য ঝুলি থেকে কিছু শব্দবাজি বেরোয়। সেগুলি ফাটতেও শোনা যায়।
উত্তর ২৪ পরগনার জেলা পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘শব্দবাজি বন্ধ করতে জেলায় নানা জায়গায় প্রচার চালানো হয়েছে। শব্দবাজি আটক করতে নিয়মিত অভিযান চলেছে। শব্দবাজি মজুত এবং ফাটানোর অভিযোগে কয়েক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy